বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছের পোনা ছাড়লেন ছাত্রদল নেতা

মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি
  ১১ জুন ২০২৫, ১৪:৪৭
টাঙ্গুয়ার হাওরে মাছের পোনা ছাড়লেন ছাত্রদল নেতা
ছবি: যায়যায়দিন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিনের উদ্যোগে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ জলাভূমি টাঙ্গুয়ার হাওরে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।

দেশের দ্বিতীয় রামসার সাইট হিসেবে স্বীকৃত এ হাওরে বুধবার (১১ জুন) দুপুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাকৃতিকভাবে মাছের বংশবিস্তারে সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলা এবং হাওরের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করা হয় বলে জানান আয়োজকরা।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভ্রমণে আসা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতামূলক বার্তা মাইকিংয়ের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। এতে বলা হয়—কেউ যেন হাওরের পানিতে প্লাস্টিক বা পরিবেশদূষণকারী কোনো বর্জ্য না ফেলেন। পাশাপাশি, ওয়াচ টাওয়ার ও আশপাশের এলাকায় পড়ে থাকা প্লাস্টিক বর্জ্য স্বেচ্ছাসেবকদের সহায়তায় অপসারণ করা হয়।

ছাত্রদল নেতা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, “টাঙ্গুয়ার হাওর এক সময় মাছের অভয়ারণ্য হিসেবে পরিচিত ছিল। এটি শুধু সুনামগঞ্জ নয়, সমগ্র জাতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ। কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবৈধ দখল, দুর্নীতি ও ক্ষমতাসীনদের লোভের কারণে এ হাওরের প্রাণ আজ বিপন্ন। এখন কেবল নামেই এটি একটি অভয়ারণ্য।

তিনি আরও বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা একটি বার্তা দিতে চেয়েছি—যদি সবাই আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসি, তবে টাঙ্গুয়ার হাওরকে তার পূর্বের রূপে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে হাওরের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।”

এ সময় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কয়েক শতাধিক ছাত্রদল নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা টাঙ্গুয়ার হাওর প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের একটি জলাভূমি। ২০০০ সালে এটি আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি হিসেবে রামসার সাইটের স্বীকৃতি লাভ করে।

হাওরজুড়ে রয়েছে নানা প্রজাতির জলজ প্রাণী, পাখি ও উদ্ভিদের বিচরণ। সৌন্দর্যপ্রেমীদের কাছে এটি এক অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র হিসেবেও পরিচিত।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে