সম্প্রতি আবারও দেশে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে । করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ১৬টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তার মধ্যে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নামও রয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেলের পরিচালক মোঃ আমিনুল ইসলাম জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত গাজীপুরে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ নিয়ে কোন রোগী এ হাসপাতালে আসেনি। গাজীপুর শিল্প সমৃদ্ধ জেলা হওয়ায় এখানে দেশের বিভিন্ন জেলার লোকজনের অবস্থান তথা বসবাস করছেন।
ঈদের ছুটিতে অনেকেই গ্রামের বাড়ি চলে গেছেন। গ্রামের বাড়ি থেকে গাজীপুরে ফিরলে কেউ করোনা ভাইরাসে বহন করছেন কিনা তা জানা যাবে। তবে তিনি সকলকে আগের মত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন।
৫০০ শয্যার এ হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা, অক্সিজেন সিলিন্ডার, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলাসহ অন্যান্য সরঞ্জাম আছে জানিয়ে ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ইতিপূর্বে ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে পরিচালিত এ হাসপাতালে যাতে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীরা পর্যাপ্ত চিকিৎসা সেবা পায়, সেভাবে এবারও প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসার জন্য ১০টি বেড রাখা হচ্ছে। তার মধ্যে ৫টি পুরুষ ও ৫টি মহিলা রোগীর জন্য বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রয়োজনে আরো বেড সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। ২০২০ সালে পাওয়া ৮টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ২টি নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো মেরামত করাসহ প্রয়োজনীয় কিট ও অন্যান্য সামগ্রীর সরবরাহের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক এসকে মোঃ সাইফুল আলম জানিয়েছেন, ল্যাবে একটি পিসিআর মেশিন রয়েছে তা ভালো আছে। আগে হাসপাতালের পুরানো ভবনে ল্যাবে বায়োসেফটির ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
কিন্তু পরবর্তীতে নতুন হাসপাতলে বিচার মেশিন তথা ল্যাব স্থানান্তর হওয়ার কারণে নতুন করে সেখানে বায়োসেফটির ব্যবস্থা নেই। তাই নতুন ভবনে বায়োসেফটির নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এছাড়া ল্যাবে জনবলও বাড়াতে হবে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের পরীক্ষা নিরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য ১৬টি হাসপাতালকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। আজকে সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত জুম মিটিংয়ে এর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।