শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার গারো পাহাড়ের ভেতর একটি বন্যহাতির মৃত শাবকের খোঁজ পাওয়া গেছে। শাবকটির জন্মের পরপরই দুই দিন আগে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বন বিভাগের কর্মকর্তারা। ৯ জুন সোমবার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার দাওধারা বনে ময়নাতদন্ত শেষে নিয়ম মেনে শাবকটিকে মাটিচাপা দেয়া হয়।
বন বিভাগ ও এলিফেন্ট রেসপন্স টিম (ইআরটি) সূত্রে জানা গেছে, ঈদের আগের দিন গত শুক্রবার রাতে উপজেলার দাওধারা গারো পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির চিৎকার শুনতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে ঠিক কী কারণে হাতির দল এমন আচরণ করছিল, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পরে ঈদের দিন শনিবার কেউ বনের দিকে না গেলেও, রবিবার বন বিভাগ, ইআরটি সদস্য ও স্থানীয়রা একসঙ্গে পাহাড়ে অনুসন্ধানে যান। বিকেলে তারা সদ্য ভূমিষ্ঠ একটি হাতি শাবকের মৃতদেহ খুঁজে পান। তবে আশেপাশে বন্য হাতির একটি দলের উপস্থিতি থাকায় শাবকটি উদ্ধার এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
পরে সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেটেরিনারি সার্জন সাকিব হোসেন সাগর, ওয়াইল্ড লাইফ রেঞ্জার আব্দুল্লাহ আল আমিন, মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলীসহ বন বিভাগের কর্মকর্তারা এসে মৃত শাবলটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন। পরে বন বিভাগের একটি দল শাবকটির ময়নাতদন্ত শেষে মাটিচাপা দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. দেওয়ান আলী বলেন, মৃত শাবকটির বয়স খুব বেশি নয়, হয়তো এক-দুই দিনের মধ্যেই ভূমিষ্ঠ হয়েছিল। তখনও তার শরীরের কিছু অংশ নরম ছিল। তিনি আরেও বলেন, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী হাতির মৃতদেহ পরীক্ষার পর নিয়ম অনুযায়ী মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে