লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে দীর্ঘদিন পলাতক থাকা মাদক মামলার ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি সুমন ওরফে কসাই সুমনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই রাতে গ্রেফতার হয়েছে আরও এক পলাতক আসামি ইসমাইল হোসেন। দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়পুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে এই দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত সুমন ওরফে কসাই সুমন (৩৮) মধুপুর গ্রামের মো. নুরুন নবীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে চারটি বিচারাধীন ওয়ারেন্ট রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুতর হলো একটি মাদক মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ। যা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশি চোখ ফাঁকি দিয়ে এড়িয়ে চলছিলেন তিনি। বাকি ওয়ারেন্টগুলোর মধ্যে রয়েছে ৯ মাস ও ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত দুটি এবং একটি সাধারণ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কসাই সুমন শুধু মাদক কারবারেই নয়, চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত ছিলেন। তার গ্রেপ্তারে এলাকায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে সাধারণ মানুষ।
এসআই জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা অনেকদিন ধরে সুমনের গতিবিধির ওপর নজর রাখছিলাম। অবশেষে গোপন সূত্রে তার অবস্থান শনাক্ত করে তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই।
অন্যদিকে, একই রাতে আটক হওয়া ইসমাইল হোসেনও একটি অপরাধ মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তার বিরুদ্ধেও একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। সুমনের মতো ইসমাইলও দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিল। পুলিশের তৎপর অভিযানে তাকেও আইনের আওতায় আনা সম্ভব হয়।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন ভূঞা জানান, আমরা সবসময়ই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট। কোনো সাজাপ্রাপ্ত আসামি যেন মুক্তভাবে ঘোরাফেরা করতে না পারে, সে লক্ষ্যে আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আটকের পর সুমন ও ইসমাইল—উভয়কেই আদালতে হাজির করা হয় এবং আদালতের নির্দেশে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।