রাজবাড়ীর পাংশায় সিলিংয়ের হুকের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে দীপা রানী পাল (২২) নামে এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। বহস্পতিবার (১২জুন) সকালে পাংশা পৌর শহরের মৈশালা পালপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত দীপা রানী পাংশা পৌর এলাকার মৈশালা পালপাড়া গ্রামের সিঙ্গাপুর প্রবাসী মিঠুন পালের স্ত্রী। ৬ বছর আগে তাদের বিয়ে হয় এবং তাদের ঘরে ৫ বছর বয়সী জমজ দুই পুত্র সন্তান রয়েছে।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে দীপা কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। সারারাত খোঁজাখুঁজির পর বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেন মৈত্রডাঙ্গী গ্রামের জব্বার মন্ডলের ছেলে সাহাই, ইমারতের ছেলে সালাম ও চাঁদ আলীর ছেলে মাসুদ নামে তিন যুবক।
নিহতের শাশুড়ি সাধনা রানী বলেন, বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার দিকে বৌমা কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও তার কোনো সন্ধান মেলেনি।
পরদিন (১২ জুন) সকাল ৫টার দিকে তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেয় মৈত্রডাঙ্গী গ্রামের জব্বার মন্ডলের ছেলে সাহাই, ইমারতের ছেলে সালাম ও চাঁদ আলীর ছেলে মাসুদ। ফেরার সময় তার কানের দুল, হাতের শাঁখা ও সিঁথিতে সিঁদুর ছিল না। এরপর আমাদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে কথাবার্তাও বলে। রাতে বের হওয়ার সময় সে নগদ ১৪ হাজার টাকাও নিয়ে যায় বলে জানায়। সকাল ৭টার দিকে সে ঘরে ঘুমাতে যায়। তারপরই কোনো একসময় এ ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, তাদের পরিবারে কোনো ঝামেলা ছিল না। অন্য পুরুষের সাথে মোবাইলে কথা বলা ও পরকীয়া সম্পর্কের কারণেই এমনটি করেছে বলে মনে হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি এবং ময়নাতদন্তের জন্য রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাই। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। এ বিষয়ে নিহতের পিতা থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করেছেন।