জমির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট গোলযোগে আটঘরিয়া চাঁদভা ইউনিয়নের হাঁপানিয়া গ্রামের দুই পক্ষের মারামারিতে ২০ জন আহত হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং এ নিয়ে ২০ জনকে আসামি করে আটঘরিয়া থানায় পরস্পর বিরোধী ২ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঘটনা গত ১০ জুন ঘটলেও উভয় পক্ষই ৪ দিন পর শুক্রবার ১৩ জুন থানায় মামলা দায়ের করেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, হাঁপানিয়া গ্রামের আব্দুল হাই পিতা আঃ গনি ও আমিজাল পিতা তোরাব আলীর একটি জমির সীমানা নিয়ে বিরোধ চলছিল।
জানা গেছে ঐ জমির সীমানা মাপ দিয়ে খুটি গাড়লে এবং গ্রাম্য ব্যবস্থায় মিমাংসা করে দিলে আমিজাল তা মানতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সীমানার খুটি নড়চড় করে। এ নিয়ে আব্দুল হাইয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে রূপ নেয়।
উভয় পক্ষের স্বজনরা এসে যোগ দিলে গোলযোগ প্রকট আকার ধারণ করে ও মারামারিতে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের ২০ জন আহত হলে তাদের মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার প্রায় ৪ দিন পর ১৩ জুন আব্দুল হাই থানায় ৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে, মামলা নং-৩।
আসামিরা হলো আমিজাল পিতা তোরাব আলী, সোহেল, সোহাগ, সজিব সর্বপিতা আঃ রাজ্জাক, আঃ রাজ্জাক পিতা ইনাত আলী, আসাদুল পিতা আজিজাল, মানিক ও রতন উভয় পিতা জনাব আলী, রিপন পিতা মনু মিয়া।
অপরপক্ষে আমিজাল ঘটনার প্রায় ৫ দিনের মাথায় ১৪ জুন থানায় ১১ জনকে আসামি করে সংঘবদ্ধভাবে পথরোধ করে মারধরের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করে মামলা নং ৭।
আসামিরা হল কামাল, আব্দুল ওয়াহাব, আব্দুল হাই, কবির, নাসি খাতুন সর্বপিতা গণি জোয়ারদার, মমিন ও মনিরুল উভয় পিতা কবির জোয়ারদার, সাব্বির পিতা কামাল, হুজ্জাতুল পিতা উসমান, কোহিনুর পিতা মনিরুল, নাজমুল পিতা মামুন।
এই মারামারিতে আঃ হাই এর পক্ষের কামাল জোয়ারদার, মনিরুল ইসলাম, সাব্বির হোসেন, আব্দুল হাই ও সালমা খাতুন নামে ৫ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। অপর পক্ষে আমিজালের পক্ষের আব্দুর রাজ্জাক নামে একজন গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
এ ব্যাপারে আটঘরিয়া থানার ওসি শফিকুজ্জামান সরকার জানান, উভয়পক্ষই পৃথক পৃথক ভাবে মামলা দায়ের করেছে এবং আইনগতভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।