সারাদেশ

নওগাঁর ধামইরহাটে তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন।

আর এ অতিষ্ঠ জনজীবনে একটু প্রশান্তি পেতে অপেক্ষা করছে আকাশের বৃষ্টির জন্য।

সেই বৃষ্টিতে যেমন শান্তি পাবে জনজীবন ঠিক তেমনি উপকৃত হবে বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজির ক্ষেত।

আজ রবিবার জেলায় ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। আর এভাবেই চলছে গত ৫দিন ধরে।

এদিকে তীব্র তাপদাহের কারনে বিপাকে পড়তে হচ্ছে ঈদের ছুটিতে আসা ব্যক্তিদের। ছুটি শেষ পর্যায়ে তবুও মিলছে না একটুও প্রশান্তি। পরিবার নিয়ে ঈদ করতে এসে তীব্র তাপদাহের কারনে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রোদের তীব্রতা ও ভ্যাপসা গরমে মানুষ ছুটে বেড়াচ্ছে একটু প্রশান্তির জন্য।

রোদের তীব্রতার কারনে সপ্তাহিক হাট ধামইরহাট হাট বাজারে ক্রেতা কম থাকায় এর প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ জনপদের হাট বাজারে গড়ে উঠা দোকান গুলোতে।

নিতান্তই প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হচ্ছেন না কেউ। আর যারা বের হচ্ছেন তাদের বেশির ভাগই ব্যবহার করছেন ছাতা। আবার অনেকেই গাছের ছাঁয়ায় খুঁজে ফিরছেন একটু প্রশান্তি। কেউবা টিউবওয়েল চেপে পানিতে মুখ ধুয়ে নিচ্ছেন ক্লান্তি দুর করতে।

এদিকে তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচাতে গরু, ছাগলসহ অন্যান্য পশুকে পুকুর, ডোবা ও নদীতে গোসল করাচ্ছেন মালিকরা।

উপজেলার রিকশা চালক আবু হানিফ বলেন, তীব্র তাপদাহ ও প্রচন্ড গরমে গ্রামীণ জনপদের রাস্তাগুলো প্রায় যানবাহন শূন্য। তীব্র রোদের কারনে ভ্যান, রিকশা ও অটোচালকরা যাত্রী না পেয়ে অলস সময় পার করছেন। সংসার চলবে কিভাবে। রাস্তায় লোকজন খুব কম। জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হচ্ছে না।

আবহাওয়া অফিস, আগামী সোমবার (১৬ জুন) থেকে ভারী বৃষ্টির সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে ১৬ জুন সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টায় চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট, ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী (৪৪-৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (১৮৮ মি.মি./২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।