সারাদেশ

ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলায় একদিনের ব্যবধানে বাক ও মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরীসহ পৃথক দুটি ধর্ষণের ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। শনিবার ১৪ জুন রাতে ভুক্তভোগী কিশোরীর মা এবং অপর ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী নিজ নিজ বাদী হয়ে তজুমদ্দিন থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

প্রথম ঘটনাটি ঘটে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ী গুচ্ছগ্রামে। মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১৩ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রতিবন্ধী এক কিশোরীকে (১৫) তার মামা মো. বাদশা ওরফে বাসু (৫৫) বেড়ানোর কথা বলে ভ্যানে করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান।

পরিবারের অন্য সদস্যরা বাইরে থাকায় বাড়ি ফাঁকা ছিল। এই সুযোগে তিনি কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। নির্যাতনের পর কিশোরীর কান্নাকাটি শুনে প্রতিবেশীরা এসে তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় উদ্ধার করেন।

দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামূল্যাহ গুচ্ছ গ্রামে। অভিযোগে বলা হয়, নীলফামারী জেলার এক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক থাকা এক বিবাহিত নারী তজুমদ্দিনে অবস্থান করছিলেন। এ সময় তাদের আটকে রেখে ওই নারীকে দুইজন মিলে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের শিকার ওই নারী দুই সন্তানের জননী।

তজুমদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহব্বত খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “উভয় ঘটনায় পৃথক মামলা রুজু হয়েছে।

ভুক্তভোগীদের ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা ও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে বেল্লাল (৩৫), মো. সোহেল (২৪) ও আ. রহমান সুমন (৩২)–কে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”