বরগুনার বামনা উপজেলায় অপহরনের ১৫ ঘন্টা পর বামনা থানা পুলিশের চৌকস অভিযানে উদ্ধার করা হয় অপহৃত মিলন নামে এক যুবককে। মিলন উপজেলার খোলপটুয়া গ্রামের বাসিন্দা।
বুধবার (১৮ জুন) বরিশালের কালিজিড়া ব্রীজ সংলগ্ন এলাকা থেকে দাবীকৃত টাকা বিকাশ লেনদেনের সময় জহিরুল হোসেন তুসার (৪০) নামের বরখাস্তকৃত পলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় অপহরনকৃতের স্ত্রী চাঁদনী আক্তার (২২) বাদী হয়ে বামনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
বামনা থানা সূত্রে জানা যায়- গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কলেজ রোডের সফদার ব্রীজের কাছ থেকে একটি মাইক্রোবাসে ৭/৮ জনের অপহরণকারী দলটি মিলনকে জোড় করে তুলে নিয়ে যায় এবং মিলনের স্ত্রী চাদনীর মুঠোফোনে ১৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করেন। এসময় চাদনী বামনা থানায় সরনাপন্ন হয়ে বিষয়টি অবহিত করেন।
এসময় বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ হারুন-অর রশিদ হাওলাদার এর পরামর্শে চাদনী অপহরন দলের কাছে বিকাশ নম্বর চাইলে তারা একটি দোকানের এজেন্ট নম্বর পাঠিয়ে দেয়। এ সময়ে অফিসার ইনচার্জ এসআই উত্তমকুমার, এএসআই সিদ্দিকুর রহমান, এএসআই নাসির উদ্দিনসহ একটি চৌকস দল বরিশাল ডিবি পুলিশের সহায়তায় কালীজিরা ব্রিজ সংলগ্ন উক্ত বিকাশ এজেন্টের দোকানে টাকা লেন-দেনের সময় জহিরুল হোসেন তুসার নামে একজন অপহরনকারীকে পুলিশ গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতারকৃত জহিরুল ইসলাম তুসার একজন পুলিশ সদস্য হিসেবে কর্মজীবন শুরু করলেও মাদক কারবারীর অভিযোগ প্রমানিত হলে তিনি পুলিশের সদস্য পদ থেকে চাকুরীচ্যুত হন।
তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ একধিক মামলা রয়েছে। থানায় প্রেস ব্রিফিং শেষে গ্রেফতারকৃত জহিরুল হোসেন তুসারে ছবি তুলতে গেলে তিনি সাংবাদিকেদের উপর চড়াও হয়ে অকথ্য ভাষায় গাল-মন্দ করেন।
বামনা থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন, অপহরনকারী জহিরুল হোসেন তুসারকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসলে অপহৃত মিলনের স্ত্রী চাদনী আক্তার বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ভিকটিম মিলনকে বৃহস্পতিবার সকালে ১৪৪ ধরায় জবানবন্দী দিতে আদালতে পাঠানো হবে। তুসার মাদক মামলায় চাকুরীচ্যুত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। ওবায়দুল কবির আকন্দ দুলাল