শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে দামুড়হুদায় জলমগ্ন, দুর্যোগ খেটে খাওয়া মানুষ

দামুড়হুদা( চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি
  ১৯ জুন ২০২৫, ১৯:২৩
আষাঢ়ের টানা বৃষ্টিতে দামুড়হুদায় জলমগ্ন, দুর্যোগ খেটে খাওয়া মানুষ
ছবি: যায়যায়দিন

নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে, তিল ঠাঁই আর নাহি রে। ওগো, আজ তোরা যাস নে ঘরের বাহিরে। কবিগুরু রবিন্দ্রঠাকুরের আষাঢ় কবিতার কথা মনে পড়ে যায়।

আষাঢ় মাসের শুরুতেই বৃষ্টি জনজীবনে মিশ্র প্রভাব। কোথাও স্বস্তি এনে দিলেও, কোথাও দুর্ভোগও সৃষ্টি করেছে। টানা বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবার গরমে অতিষ্ঠ জনজীবনে বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছে।

আষাঢ় এসেছে তার চিরুচেনা রুপে-কালো মেঘ, দমকা হাওয়া আর অবিরাম বর্ষণ। আষাঢ়ের প্রথম দিন থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। তারপর বৃষ্টির তীব্রতা বেড়ে যায়। টানা ৫ দিনের বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা।

বৃষ্টির কারণে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শ্রমজীবী মানুষ বিপাকে পড়েছে। বৃষ্টিতে রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে এবং সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা এলাকার ভ্যানচালক জালাল জানান, টানাবৃষ্টিতে ঘর হতে বাহির হতে পারছি না। ঘরে কোন খাবার নেই। নেই কোন আয়। বের হলে সড়কে পানি, যাত্রী পাওয়া যায় না। ঈদ গেলো জমানো টাকা শেষ, এখন প্রতিদিন ভ্যান চালিয়ে যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাতে হয়। কিন্তু বৃষ্টিতে ভ্যান কেহ উঠেনা যার কারণে কোন আয় নেই। ছেলেমেয়ে নিয়ে খুব কষ্টে আছি।

এমন অসংখ্য খেটে খাওয়া মানুষ এখন দিশেহারা। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি, দিনমজুর,হকার, রিকশা ও অটোচালক সবাই একই দুর্দশার কথা বলেন।

বৃষ্টির কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন কাজে যেতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। শ্রমজীবী মানুষ যারা দিন আনে দিন খায় বিশেষ করে শ্রমিক, রিকশা-ভ্যানচালক, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সবার জীবিকা নির্ভর করে প্রতিদিনকার আয়-রোজগারের ওপর। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে থমকে গেছে তাদের জীবনের চাকা।

দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার জানান, ক্ষেতে পাট ছাড়া তেমন কোন ফসল নেই। যে সকল ক্ষেতে সবজী মাটিতে রয়েছে তার কিছুটা ক্ষতি হতে পারে। তাছাড়া এ বৃষ্টিতে ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হবে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে