পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতা গ্রামে সরকারি অর্থে নির্মিত একটি নতুন মাটির রাস্তা কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ উঠেছে, নির্মাণকাজ চলাকালীন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর নেতৃত্বে রাস্তাটি কেটে দেওয়া হয়েছে। ফলে সরকারি অর্থ অপচয় হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং নৌবাহিনীর রাঙ্গাবালী কন্টিনজেন্ট কমান্ডার বরাবর ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়। প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মোসা. আছমা বেগম এ অভিযোগ করেছেন বলে জানা যায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে কাবিটা কর্মসূচির (কাজের বিনিময় টাকা) আওতায় চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের চরলতা মূল সড়ক সংলগ্ন শাহজামালের বাড়ি থেকে পশ্চিমে জসিম চৌকিদারের বাড়ি পর্যন্ত মাটির রাস্তা নির্মাণের জন্য দুই লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ৮ জুন রাস্তাটির নির্মাণকাজ শুরু হয়।
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য আছমা বেগম বলেন, শুরু থেকে রাস্তাটি নির্মাণে তারা বাঁধা দিচ্ছিল। পরে আলাপ-আলোচনা করে কাজ শুরু করি।
কিন্তু ১৬ জুন কিছু লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে নবনির্মিত রাস্তাটি কেটে ফেলে কাজে বাঁধা দেন।’ লিখিত অভিযোগের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর চালিতাবুনিয়া গ্রামের মনির হাওলাদার, হেলাল হাওলাদার ও জুয়েল হাওলাদারের নেতৃত্বে প্রায় ২০ জন লোক রাস্তাটি কেটেছে। যার ভিডিও প্রমাণ আমার কাছে আছে।’
এ প্রসঙ্গে জানতে অন্যতম অভিযুক্ত জুয়েল হাওলাদারকে ফোন করলে তিনি বলেন, ‘প্রথমে চলাচলের জন্য ভেড়ি করার কথা ছিল। পরে রাস্তা করতে গিয়ে মাটি কেটে আমাদের ১০ কড়া ধানী জমি নষ্ট করেছে। একটি পরিবারের জন্য আমাদের জমি নষ্ট করে রাস্তাটি করা হচ্ছিল। অথচ অন্যপথে রাস্তাটি হলে এক শ’ পরিবার উপকৃত হতো। আমাদের জমির ভেতরের অংশ আমরা সরিয়ে দিয়েছি। এটা সরকারি রাস্তা কিনা-তা আগে আমাদের কেউ বলেনি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইকবাল হাসান বলেন, বিষয়টি জেনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।