নীলফামারীর সৈয়দপুরে রেলওয়ের রেললাইন ও গুরুত্বপূর্ণ মালামাল পাচারের ঘটনায় উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) সুলতান মৃধার (৫৮) বিরুদ্ধে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার পর অভিযুক্ত ওই প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসাথে বিষয়টি তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটিও গঠণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাতে রেলওয়ের বিভাগের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় এসএসএই (পথ) সুলতান মৃধা ছাড়াও আরো ৫/৭জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী সুলতান মৃধাকে শুক্রবার (২০ জুন) নীলফামারী আদালতে সোপর্দ করা হয়।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, আসামী মো. সুলতান মৃধা মাদারীপুরের শিবচরের চরকামার হাওলাদারকান্দি এলাকার মৃত. হবির উদ্দিন মৃধার ছেলে। তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুর বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সকালে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজশাহী ও পাকশী বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পার্বতীপুর রেলওয়ের সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী তহিদুল ইসলাম বাংলাদেশ রেলওয়ের সৈয়দপুর বিভাগের উর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী (পথ) এর কার্যালয় সংলগ্ন গোডাউন পরিদর্শনকালে চারটি অক্সিঅ্যাসিটিলিন সিলিন্ডার, একটি এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার, কাটিং ক্যাবলসহ রেললাইনের ২৫টি বিভিন্ন সাইজের কাটা পাত দেখতে পান। মূলতঃ ওই রেললাইনগুলো কেটে চোরাই পথে চুরির উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল এবং এসব রেলওয়ে লাইন ও মালামালের আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় প্রকৌশলী-২ বীরবল মন্ডলকে প্রধান করে গঠন করা কমিটির অন্য সদস্যরা আগামী দুই/তিন দিনের মধ্যে তদন্ত শুরু করবেন বলে জানা গেছে। সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ-উন-নবী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার(২০ জুন) মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী মো. সুলতান মৃধাকে নীলফামারী আদালতে পাঠানো হয়েছে।