নীলফামারী জলঢাকায় স্কুল কক্ষ থেকে জব্দ করা সরকারি ভিজিএফের চালের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে মাঠে নেমেছে তদন্ত কমিটি।
রোববার (২২ জুন) উপজেলার কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তদন্তকাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসনের গঠিত ৩ সদস্যের এ তদন্ত কমিটি।
এর আগে গত ৪ জুন রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কৈমারী ইউনিয়নের গাবরোল সিদ্দিকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের একটি শ্রেণিকক্ষ থেকে ১২.৫ টি বস্তায় আনুমানিক ৪৩০ কেজির চাল জব্দ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়িদ ইমরুল মোজাক্কিন।
ওই দিন রাতেই জব্দকৃত চাল অবৈধ মজুদ রাখার কারণ দেখিয়ে জড়িতদের চিহ্নিত করতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।জানা যায়, ওই ইউনিয়নটিতে ৫৬৮৮ টি কার্ডের জন্য মোট বরাদ্দ হয় ৫৬.৮০০ মেট্রিক টন চাল। গত ৩ এবং ৪ জুনের মধ্যে কাগজে কলমে ইউএনওকে কৈমারী ইউনিয়নের ভিজিএফ কার্ডের চাল সম্পূর্ণ বিতরণ সম্পন্ন দেখানো হলেও মুলত ইউপি সচিব এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পেয়ারি বেগম এবং ট্যাগ অফিসারের প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক এসব চাল আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যেই স্কুলের শ্রেণি কক্ষে রাখেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা খোরশেদ আলম বলেন, তদন্তকাজ চলমান রয়েছে। শিগগিরই তদন্তকাজ শেষ করে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।