সারাদেশ

দিনাজপুরের খানসামায় জমি-সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বসতবাড়িতে সশস্ত্র হামলা, ভাঙচুর, নির্যাতন এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আনিছুর রহমান ও সহিদুল ইসলামকে আটক করে আদালতে পাঠান থানা পুলিশ।

গত ২০ জুন (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ভান্ডারদহ বকুলতলা টাটারু শাহপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি-সংক্রান্ত পুরনো বিরোধের জের ধরে এলাকার প্রভাবশালী ছকেত আলীর নেতৃত্বে তার আত্মীয়-স্বজনসহ ৩০ থেকে ৩৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল হঠাৎ করেই লতিফের বাড়িতে হামলা চালায়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলাকারীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে বসতবাড়ির টিনের চাল, দরজা-জানালা, আসবাবপত্র ভাঙচুর করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে। এ সময় তারা ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে নারীদের উপর শারীরিক হামলা চালায়।

অভিযোগ রয়েছে, ভুক্তভোগীর স্ত্রী ও মেয়েকে মারধরের পাশাপাশি শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করা হয়। ঘরের ড্রেসিং টেবিলের ড্রয়ার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা এবং প্রায় ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয়, বাড়ির লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়ে যায় তারা।

স্থানীয়রা জানায়, চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তাদের দিকেও তেড়ে আসে এবং এলাকায় ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেওয়া হয় এবং বর্তমানে তারা মানসিকভাবে ভীত ও আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় আছেন।

ঘটনার পরদিন ২১ জুন ভুক্তভোগী মোঃ আব্দুল লতিফ খানসামা থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১৮-২০ জনকে আসামি করে একটি লিখিত এজাহার দাখিল কর।

এ বিষয়ে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ নজমুল হক বলেন, “ভুক্তভোগীর লিখিত এজাহারটি আমরা আইন অনুযায়ী গ্রহণ করেছি এবং তা নিয়মমাফিক মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। ঘটনায় নাম উল্লেখসহ একাধিক আসামিকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় ২ জনকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।