মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত কর্মীদের পেশাগত মর্যাদা, নিয়োগবিধি সংস্কার এবং বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে টাঙ্গাইলের মধুপুরে অবস্থান কর্মসূচি ও কর্মবিরতি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।
আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মধুপুর উপজেলা শাখার আয়োজনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
স্বাস্থ্য সহকারীদের মূল দাবি হলো নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক (বিজ্ঞান) ডিগ্রীধারীদের উপযুক্ত মর্যাদা দিয়ে ১৪তম গ্রেড নির্ধারণ, ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান।
পাশাপাশি, পদোন্নতিতে ধারাবাহিক গ্রেড উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যখাতের আন্তর্জাতিক সাফল্যে ভূমিকা রাখা সত্বেও দীর্ঘদিন ধরে চলা বেতন বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান তারা।
সংগঠনের মধুপুর শাখার সভাপতি আ: হালিমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বাবুল আক্তারের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিটন চন্দ্র দাস, মাহফুজুর রহমান, সদস্য হাজেরা পারভীন, মৌসুমী আক্তার ও মনোরঞ্জণ বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা।
বক্তারা জানান, ‘মানবজন্মের পর থেকে প্রতিষেধক টিকা কার্যক্রম স্বাস্থ্য সহকারীরাই পরিচালনা করে থাকেন। এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যথার্থভাবে পালনের পরও আমরা এখনও টেকনিক্যাল পদমর্যাদা থেকে বঞ্চিত। এটি শুধু অবমাননাকর নয়, এটি আমাদের পেশাগত ভবিষ্যতের জন্য হুমকিস্বরূপ।
তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বারবার আবেদন ও স্মারকলিপি প্রদান সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে। এবার যদি দাবীসমূহ বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি না হয় তবে তারা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধের আলটিমেটাম দেন।
বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারীর বৈষম্য দূর করে ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করবে। দেশের স্বাস্থ্যখাতে টিকাদান কার্যক্রমের নিরবচ্ছিন্ন অগ্রগতির জন্য তারা সময়োপযোগী পদক্ষেপ চান।
কর্মসূচিতে হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের মধুপুর উপজেলা শাখার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।