৫ আগস্টের পরে যে সমস্ত তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে এগুলো কারখানা আগে থেকেই বন্ধ ছিলো বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।
আজ দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি) ডিফেন্স সার্ভিস কমান্ড স্টাফ কলেজ মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট এর উদ্যোগে সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
উপদেষ্টা সাখাওয়াত বলেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানাগুলোর মালিক কারখানা চালু থাকায় ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে সেই টাকা শ্রমিকদের বেতন দেয় নাই কাজও করে নাই এসব কারখানার মালিকদের যদি ব্যাংক হিসেব নেওয়া হয় দুইশ’ থেকে তিনশ’ কোটি টাকার কমে না কারণ টাকা নিয়েছে এখন ব্যাংক তাদের টাকা দেয় না। এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না টাকা পয়সা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে একটা কোম্পানী এ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি যারা তিনশ’ কোটি টাকা নিয়েছে ঋণ খেলাপি হয়েছে তার পরেও ব্যাক টাকা দিয়েছে পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এরকম হবে।
তিনি বলেন, সব গার্মেন্টস তো বন্ধ হলে ১৭% এক্সপোর্ট হতো না এবং চিটাগাং পোট কুলাতে পারছে না যে গুলো বন্ধ হয়েছে সেগুলো সাব কনট্রাকে কাজ করাতো শ্রমিকদের দিয়ে তাই খুব ডিফিকাল্ট নেই, হ্যাঁ অনেক বেকারত্ব বেড়েছে তবে অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে এবং বেক্সিমকো যে বন্ধ হয়েছে সেসব কারখানার শ্রমিকরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়া বা অন্য কেউ কিনে নিলে তাদেরকে ব্যাংক ঋণ দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তা করবে, কিন্তু এটা অনেক সময় লাগবে বলেও বলেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশসহ বিশ্বের চব্বিশটি দেশের সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।