সারাদেশ

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডেন্টাল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লিটন ভূশণ হাওলাদারের বিরুদ্ধে রোগী ভাগিয়ে ব্যাক্তিগত চেম্বারে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালে না করে অপারেশন করছেন বেসরকারি ক্লিনিকে। হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অর্থ।

এছাড়া বিভাগীয় প্রধান না হয়েও ব্যানারে লিখছেন বিভাগীয় প্রধান।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামীলীগ আমলে লিটন ভূশণ ছিলেন ডেন্টাল বিভাগের সবচেয়ে ক্ষমতাধর চিকিৎসক। আওয়ামী পেশাজীবী সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ সমর্থিত ডেন্টাল সোসাইটির সাবেক কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডাঃ হুমায়ন কবির বুলবুলের ঘনিষ্টজন হিসেবে পরিচিত লিটন ভূশণ কখনই নিয়মতান্ত্রিক অফিস করেননি বলে অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া কাউকে তোয়াক্কা না করে সরকারি হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভাগিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যেতেন।

৫ আগষ্টের মাধ্যমে দেশের আমুল পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি ডাঃ লিটন ভূশণের রোগী ব্যবসার। এখনও তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা না করে রোগীদের বুঝিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে যাচ্ছেন। আর তার এই উদ্দেশ্য সফল করতে তিনি ডেন্টাল ওয়ার্ডে প্রবেশ করেন দুপুর ১/২ টার পর। যাতে অন্যান্য চিকিৎসকরা না থাকেন। এসময় তিনি ভর্তি রোগীদের বেডে বেডে গিয়ে তাদেরকে তার নির্ধারিত ক্লিনিকে ভর্তি হতে উদ্বুদ্ধ করেন। এরপর সেখানে অপারেশনের নামে বিরাট অংকের টাকা হাতিয়ে নেন এই ডাক্তার। গত কয়েকদিন আগেও তিনি এক রোগীকে শের-ই-বাংলা হাসপাতাল থেকে ভাগিয়ে নিয়ে নগরীর হেমায়েত উদ্দিন ডায়াবেটিকস হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে অপারেশন করেন।

এরকম তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তিনি প্রাইভেট চেম্বারে নিজের পরিচয় লিখতে গিয়ে ডেন্টাল বিভাগীয় প্রধান লিখেন বলে জানা গেছে। অথচ হাসপাতাল সূত্র বলছে শের-ই-বাংলা হাসপাতালের ডেন্টাল ওয়ার্ডে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অদ্যবদি কাউকে পদায়ন করা হয়নি। কিন্তু লিটন ভুশণ আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে নিজের নামের সাথে ওরাল এন্ড ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জাারী বিভাগের বিভাগীয় প্রধান লিখে আসছেন। তার এই অনিয়মিত অফিস ও রোগী ভাগানোর হাত থেকে হাসপাতালকে রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভুগিরা। এ ব্যাপারে শের-ই-বাংলা হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, ডেন্টাল ইউনিটের একজন প্রধান রয়েছেন। তবে বিভাগ ভিত্তিক কোন বিভাগীয় প্রধান ডেন্টাল ইউনিটে এখনও দেয়া হয়নি।

এদিকে অভিযোগের বিষয় জানতে ডাঃ লিটন ভূশণের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু না বলে তার সাথে দেখা করার অনুরোধ জানান।