নোয়াখালীর সদর উপজেলার মাদ্রাসা ছাত্র জুদান ইবনে জিদান (১২) হত্যার বিচার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) সকাল ১১টা থেকে ঘন্টাব্যাপী নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ের সামনে ‘নিহত জুদানের এলাকাবাসী’ ব্যানারে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে নিহত জুদানের জুদানের বাবা আমিনুল ইসলাম সোহেল, মা সাবিনা খাতুন জুমাসহ, স্বজন ও এলাকাবাসী অংশগ্রহণ করেন। এ সময় সোনাপুর-সাহেবের হাট সড়কে প্রায় আধাঘন্টা যান চলালচ বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় নিহত জুদানের বাবা সদর উপজেলার নোয়াখালী ইউনিয়নের মধ্য চর উরিয়া গ্রামের ওমান প্রবাসী আমিনুল ইসলাম জানান, জুদান নোয়াখালী পৌরসভার মহব্বতপুরে তাজবীদুল কুরআন সোবহানিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের ছাত্র ছিল।
সে সব সময় হাসি-খুশি থাকতো। গত ৩০ এপ্রিল মাদ্রাসা থেকে মুঠোফোনে জুদানের মাকে জানানো হয় সে অসুস্থ্য সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখেন জুদান মৃত। এরপর জানানো হয়, সে আত্মহত্যা করেছে।তিনি আরও বলেন, মৃত্যুর দুই দিন আগে খেলাকে কেন্দ্র করে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জুদানকে শাস্তি দেয়। প্রথমে তার মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়, তারপর তাকে টেবিলের নিচে মাথা দিয়ে কান ধরিয়ে রাখা হয়।
এ সময় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জানতে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে। সেখানে জুদানের মৃত্যু ফাঁসিতে হয়েছে বলে উল্লেখ আছে। পরবর্তী বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে।