শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ইসলামের ইতিহাসে প্রথম মসজিদ

যাযাদি ডেস্ক
  ১৯ মে ২০২৪, ১৮:৫৭
ছবি-সংগৃহিত

মক্কা শরিফ থেকে ৩২০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত মসজিদে কুবা যা ইসলামের ইতিহাসের প্রথম মসজিদ। এটি মসজিদে নববি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত।

হিজরতের পর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। এখানে তিনি বেশ কিছুদিন অবস্থানও করেছিলেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি শনিবার এই মসজিদে যেতেন।

ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে ফজিলতপূর্ণ ও মর্যাদাসম্পন্ন মসজিদ তিনটি। তার মধ্যে হলো মসজিদে কুবা একটি।

মহানবী (সা.) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার সময় মদিনার অদূরে কুবায় এ মসজিদ নির্মাণ করেন। এর আগে মক্কায় তিনি কোনো মসজিদ নির্মাণ করেননি। হিজরতের প্রথম দিন কুবা অবস্থানকালে এই মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন।

পূর্বে এই মসজিদের আশেপাশে কুবা নামে একটি বিখ্যাত কূপ ছিল। তৎকালীন সময়ে এই কূপকে কেন্দ্র করে একটি জনবসতি গড়ে উঠে, সেই জনবসতি কুবা মহল্লা নামে পরিচিত হয়। এবং কালের পরিক্রমায় মসজিদে কুবা নামকরণ হয়। ধারণা করা হয়, সূরা তওবার ১০৮ নং আয়াতে বলা মসজিদটি মূলত কুবা মসজিদ।

নবীর আমলের পর ইসলামের তৃতীয় খলিফা হযরত উসমান ( রা.) তার খেলাফতকালে মসজিদে কুবার সংস্কার ও পুনর্নিমাণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে আরও বেশ কয়েকবার এই মসজিদের পুনর্নিমাণ ও সংস্কার করা হয়।

১৯৮৬ সালে মসজিদটি সর্বশেষ সম্প্রসারণ হয়। তখন পুরো মসজিদে এক ধরণের সাদাপাথর ব্যবহার করা হয়, যা অন্য কোনো মসজিদে সাধারণত দেখা যায় না।

মসজিদে কুবার বর্তমানে ২০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারে।

মূল মসজিদ ছাড়াও এখানে রয়েছে আবাসিক এলাকা, অফিস, অজুখানা, দোকান ও লাইব্রেরি। তবে মসজিদের মূল আকর্ষণ বিশাল গম্বুজ এবং চার কোণায় চারটি সুউচ্চ মিনার। মসজিদের চতুর্দিকের সুবজ পাম গাছের বলয় মসজিদটিক বাড়তি সৌন্দর্য দিয়েছে।

মসজিদের বাইরে এ মসজিদ সম্পর্কে বর্ণিত পবিত্র কোরআনের আয়াত ও হাদিসের বাণীগুলো সুন্দরভাবে লিখে রাখা হয়েছে। ঐতিহাসিক কুবা মসজিদ শ্বেতবর্ণের একটি অনন্য স্থাপত্যকর্ম হওয়ার দরুন বহু দূর থেকে দৃষ্টিগোচর হয়।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে