শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে চিনি-পিঁয়াজের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে

নুরউদ্দীন খান সাগর, চট্টগ্রাম
  ২২ মে ২০২৩, ১৪:৫৭
ফাইল ছবি

কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে চিনির ও পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করে তুলছে কয়েকটি সিন্ডিকেট । নির্ধারিত দামের চেয়ে অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছে তারা। এভাবে দাম বাড়ায় বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

গত ১১ মে সরকার চিনির দাম নির্ধারণ করে দেয়। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে না বৃহৎ ভোগ্যপণ্যের বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে। ভোগ্য পণ্যের মধ্যে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে চিনি, পেঁয়াজ ও আদার দাম। অনেকটা সিন্ডিকেটের কবলে এসব পণ্য। চিনির দাম নির্ধারণ করা থাকলেও আমদানিকারক, আড়তদাররা তোয়াক্কা করছে না। তারা ইচ্ছেমতে চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা পর্যায়ে দুই দফা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। তদারকির অভাবে ভোক্তা পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না।

নগরীর প্রায় সব বাজারে এখন পেঁয়াজ কেজি ৮০থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আদার দামও বাড়ছে কোনো কারণ ছাড়াই। সবজির বাজারে অব্যাহত আছে তেজী ভাব। ৭০ টাকার কমে কোনো সবজিই মিলছে না।

নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় নাভিশ্বাস অবস্থা মধ্য ও নিম্নআয়ের মানুষের। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজে নতুন করে দাম বেড়েছে কেজিতে ২৫ টাকার বেশি।

খুচরা বাজারে ভালোমানের পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এক মাস আগেও পাহাড়তলী, চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম ছিল ৩২ টাকা থেকে ৩৫ টাকা। এখন পাইকারিতেই প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ঠেকেছে ৬০ টাকা থেকে ৬৫ টাকায়।

চিনি নিয়েও চলছে চিনিমিনি । নির্ধারিত দাম হলো প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (খোলা) মিলগেট মূল্য ১১৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২০ টাকা এবং প্রতি কেজি পরিশোধিত চিনি (প্যাকেট) মিলগেট ১১৯ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২১ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১২৫ টাকা। কিন্তু এ দামে চট্টগ্রামের কোথাও চিনি বিক্রি হচ্ছে না।

খুচরা পর্যায়ে দুই দফা চিনির দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। তদারকির অভাবে ভোক্তা পর্যায়ে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না। সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনির দাম ১২০ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু পাহাড়তলী, খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে চিনির মণ (৩৭.৩২ কেজি) বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ৭০০ টাকা। কেজি হিসাবে বিক্রি হচ্ছে ১২৩ দশমিক ৩২ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, মিল মালিকরা কয়েক দিন আগে চিনির দাম বাড়িয়েছেন। আমদানিকারকরা নানা অপকৌশলে চিনির দাম বাড়াচ্ছেন। অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়েও ২০ টাকার বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে। সরকার কেবল মূল্য নির্ধারণ করে দায় সারছে। মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনের কোনো তদারকি নেই। সরকার চাইলেই ব্যবসায়ীরা নির্ধারণ করে দেওয়া দামে চিনি বিক্রি করতে বাধ্য।

চট্টগ্রামের কাঁচাবাজারে সবজির দামের উত্তাপ কমছে না। দীর্ঘদিন ধরে চড়া সবজির বাজার। অধিকাংশ সবজিই বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার ওপরে। এছাড়া প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২২০ থেকে ২৩০, কক ৩৫০ ও পাকিস্তানি লেয়ার ৩৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর প্রতি কেজি গরুর মাংস ৮০০ এবং খাসি ১১শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সোমবার প্রতি কেজি পটল ৮০, লতি ৬০, ধুন্দল ৯০, ঢেঁড়শ ১০০, তিতা করলা ১০০, বেগুন ৭০, চিচিঙ্গা ৭০, টমেটো ৬০, বরবটি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শনিবার থেকে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকার সুযোগ মাছের বাজারেও মিলছে না স্বস্তি। বাজারে প্রতি কেজি শিং মাছ ৬০০, রুই ৩৫০, পাঙ্গাস ২২০, কাতলা ৩০০ থেকে ৩৫০, টেংরা ৪৫০, কই ৪৫০ ও চিংড়ি ৭০০-৮০০, পাবদা ৫০০, টেংরা ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে