রোববার, ২৫ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

তদন্ত কমিশন গঠনসহ ৭ দাবি শাপলা স্মৃতি সংসদের

সংবাদ সম্মেলন
যাযাদি রিপোর্ট
  ২৪ মে ২০২৫, ২১:২৬
তদন্ত কমিশন গঠনসহ ৭ দাবি শাপলা স্মৃতি সংসদের
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মতিঝিলে ২০১৩ সালের ৫ মে সংঘটিত ঘটনায় ‘শাপলা গণহত্যা তদন্ত কমিশন’ গঠনসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে শাপলা স্মৃতি সংসদ।

আজ শনিবার (২৪ মে) সন্ধ্যায় এক সংবাদ সম্মেলনে শাপলা স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক এসব দাবি উত্থাপন করেন।

1

রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘শাপলা চত্বর: শাহাদাতের রক্তে রাঙা অবিনাশী চেতনা’ শীর্ষক এই সম্মেলনের আয়োজন করে শাপলা স্মৃতি সংসদ।

সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত দাবিগুলো হলো- শাপলা চত্বরের ঘটনায় নিহত ও আহত ব্যক্তিদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া, সরকারের পক্ষ থেকে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ও নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নেওয়া, শহীদ পরিবার ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের নিয়মিত ভাতা প্রদান; শাপলা গণহত্যার সত্য ইতিহাস জাতীয় শিক্ষাক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা; জুলাই ঘোষণাপত্রে শাপলার গণহত্যাকে জাতীয় ট্র্যাজেডি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া; রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে যাচাইকৃত শহীদ তালিকা প্রস্তুত করে তা জাতীয় নথিতে অন্তর্ভুক্ত করা।

মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘনকারী এই গণহত্যায় দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা; হেফাজতে ইসলাম ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব হয়রানিমূলক মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করা এবং আইনজ্ঞ ও নিরপেক্ষ নাগরিকদের সমন্বয়ে ‘শাপলা গণহত্যা তদন্ত কমিশন’ গঠন করে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সুপারিশমালা প্রকাশ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে ‘শাপলাকেন্দ্রিক বিভিন্ন কাজে অংশীজনের সম্মাননা ও সম্মিলনী ২০২৫’-এর ঘোষণা দেন মামুনুল হক। আগামী ৩০ আগস্ট শাপলা গণহত্যা নিয়ে যারা বিভিন্নভাবে অবদান রেখেছেন, তাদের সম্মাননা প্রদানের মাধ্যমে এই সম্মিলনী অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।

আরও বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহমদ, এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম, হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে শাপলা চত্বরের ঘটনায় আহত মাওলানা আবদুর রহিম, মাওলানা রাশেদুল ইসলাম এবং নিহত হাফেজ আল আমিনের ভাই শফিকুল ইসলাম বক্তব্য দেন। এ সময় শাপলা চত্বরে শহীদদের তালিকা সংবলিত স্মারক বই ‘শহীদনামা’ উন্মোচন করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে