রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল ছেড়েছেন জুলাই যোদ্ধারা। তবে তাদের ৫৫ জনের মধ্যে তিনজন প্রতিনিধি হাসপাতালটিতে আছেন। চার তলায় ভেতর থেকে তালা দিয়ে তারা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তা সম্ভব হচ্ছে না।
মঙ্গলবারও হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ ছাড়া অন্য সব বিভাগ বন্ধ ছিল। ফলে রোগী ভর্তি কিংবা পরীক্ষা নিরীক্ষা ও অস্ত্রোপচার হয়নি। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রোগীরা চিকিৎসার জন্য এলেও জরুরি বিভাগে সবাইকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। এ অবস্থায় গত দুই সপ্তাহেও কাটেনি অচলাবস্থা।
জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৮ মে থেকে হাসপাতালটির পুরো চিকিৎসা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এক সপ্তাহ পর স্বল্প পরিসরে জরুরি বিভাগ চালু হলেও এখন পর্যন্ত বাকি বিভাগগুলো চালু হয়নি।
কুমিল্লার দেবীদ্বারের বাসিন্দা আবদুল মান্নান চোখের চিকিৎসা করাতে এসেছেন। তিনি জানান, বেশ কিছুদিন থেকে তাঁর ডান চোখ একদিকে টান লাগে। তীব্র ব্যথায় তাঁর মুখ ডান দিকে বাঁকা হয়ে আসে। কিন্তু জরুরি বিভাগ থেকে তিনি কোনো চিকিৎসা পাননি।
জরুরি বিভাগের নার্সদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একান্ত জরুরি ছাড়া অন্য রোগীর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এ জন্য অনেক রোগীকে চিকিৎসা ছাড়াই ফিরে যেতে হচ্ছে। সেবা পুরোপুরি চালু হলে সব রোগী আবারও চিকিৎসা পাবেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা প্রয়োজন, এমন অধিকাংশ রোগীই ফেরত যাচ্ছেন।
জুলাই যোদ্ধা রোহান মাহমুদ বলেন, ‘ঈদের ছুটিতে বাড়িতে এসেছি। দু-একদিনের মধ্যে আবার হাসপাতালে ফিরব। আমার মতো অধিকাংশ আহতই দু-একদিনের মধ্যে হাসপাতালে ফিরবেন। আমাদের উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সাতজনের তালিকা প্রস্তুত হয়েছে। বাকিদেরও বিদেশ পাঠাতে হবে।’
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলমের দাবি, জরুরি বিভাগ চালু আছে। মঙ্গলবার ৬৬ জনকে সেবা দিয়েছি। এর মধ্যে আটটি জরুরি অস্ত্রোপচার করেছি। সংকট নিরসন করে আগামী শনিবার থেকে সব সেবা চালুর চেষ্টা চলছে। আহত রোগীরা বিশেষায়িত ওয়ার্ডের ফটকে তালা দিয়ে ভেতরে অবস্থান করছেন। তারা পাঁচজনের খাবার নিয়েছেন।