বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২

এনবিআরে আন্দোলন: বদলির আদেশ ছিঁড়ে প্রতিবাদ কর্মকর্তাদের

যাযাদি ডেস্ক
  ২৪ জুন ২০২৫, ২০:১২
এনবিআরে আন্দোলন: বদলির আদেশ ছিঁড়ে প্রতিবাদ কর্মকর্তাদের
সংবাদ সম্মেলনে এনবিআরের আন্দোলনরত কর্মকর্তারা। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানকে অপসারণ দাবির মধ্যে জারি করা সবশেষ দু’টি বদলি আদেশকে ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক’ দাবি করে তা ছিঁড়ে ফেলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ মঙ্গলবার (২৪ জুন ঢাকার আঁগারগাওয়ের রাজস্ব ভবনে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ডাকা সংবাদ সম্মেলন করে এ প্রতীকী প্রতিবাদ করেন তারা।

একই সঙ্গে সবশেষ বদলি আদেশ অনুযায়ী পাঁচ কর্মকর্মতার এ দিন নতুন দপ্তরে যোগদানের নির্দেশনা থাকলেও সেখানে তারা যোগ দেননি।

এনবিআর চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে আন্দোলন চলার মধ্যে রোববার আয়কর অনুবিভাগের পাঁচ কর্মকর্তাকে ‘তাৎক্ষণিক বদলি’ করা হয়।

এর মধ্যে দুজন আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিটের, একজন এনবিআর বোর্ড অফিসের এবং বাকি দুজন ঢাকা ও কুমিল্লার কর অঞ্চলের।

কর প্রশাসনের এক আদেশে বলা হয়, উপ কর কমিশনার শাহ মোহাম্মদ ফজলে এলাহীকে আয়কর গোয়েন্দা থেকে বদলি করে ময়মনসিংহ কর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।

উপ কর কমিশনার মোহাম্মদ শিহাবুল ইসলামকে ঢাকার কর অঞ্চল-১৬ থেকে থেকে খুলনা কর অঞ্চলে এবং উপ কর কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ ইউসুফকে বোর্ড থেকে সরিয়ে বদলি করা হয়েছে বগুড়া কর অঞ্চলে।

এছাড়া উপ কর কমিশনার ইমাম তৌহিদ হাসান শাকিলকে আয়কর গোয়েন্দা থেকে কুমিল্লা কর অঞ্চলে এবং উপ কর কমিশনার নুসরাত জাহান শমীকে কুমিল্লা কর অঞ্চল থেকে রংপুর কর অঞ্চলে পাঠানো হয়েছে।

আদেশে বলা হয়েছে, তাদের নতুন কর্মস্থলে মঙ্গলবার বা তার আগেই যোগ দিতে হবে এবং সোমবার বর্তমান কর্মস্থলে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘গত ২১ ও ২২ জুন একাধিক আদেশের মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি আদেশে অত্যন্ত দক্ষ ও পেশাদার হিসেবে সুনাম রয়েছে এবং কর্মসূচিতে সম্মুখ সারি থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, এমন পাঁচজন আয়কর কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে অপেক্ষাকৃত কম রাজস্ব সম্ভাবনাময় দপ্তরে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।’

বলা হয়, ‘সে আদেশে প্রাপ্য যোগদানকাল না দিয়েই পরবর্তী কর্মদিবসে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগদান করতে বলা হয়েছে, যা চাকরিবিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থি ও অবৈধ। এই অবৈধ আদেশ বর্তমান এনবিআর চেয়ারম্যানের ‘ব্যক্তিগত জিঘাংসা চরিতার্থের এক জলজ্যান্ত প্রমাণ’।’

এনবিআর চেয়ারম্যান সংস্থাটির ‘যৌক্তিক’ কর্মসূচিতে থাকা কর্মকর্তাদের ‘পুঞ্জিভূত ক্ষোভকে উস্কে’ দিচ্ছেন দাবি করে বলা হয়, “তিনি (এনবিআর চেয়ারম্যান) পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চান। তার এমন কর্মকাণ্ড অত্যন্ত দুরভিসন্ধিমূলক।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে