বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বৈশ্বিক পোশাক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগী সক্ষমতা ধরে রাখতে প্রযুক্তির আপগ্রেডেশনের পাশাপাশি টেকসই উৎপাদন চর্চা, উদ্ভাবন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমরা আমাদের শিল্পের সক্ষমতা বাড়ানোর কথা বলছি। এর অর্থ হচ্ছে, আমাদেরকে কটনভিত্তিক পণ্য এবং প্রচলিত পণ্যের বাইরে যেতে হবে, পণ্য বিকাশ এবং উদ্ভাবনে সক্ষমতা বাড়াতে হবে, একই সাথে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং পেশাগত দক্ষতার উন্নয়নও করতে হবে।”
১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় সিইএমএস বাংলাদেশ (CEMS Bangladesh) এর সহযোগিতায়, সিইএমএস গ্লোবাল ইউএসএ (CEMS Global USA) আয়োজিত টেক্সটেক সিরিজের প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতিক) এমপি।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এ.এইচ.এম. আহসান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এবং সিইএমএস গ্লোবাল ইউএসএ এবং এশিয়া প্যাসিফিকের প্রেসিডেন্ট ও গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেরুন এন ইসলাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।ফারুক হাসান তার বক্তব্যে বলেন, “ফাস্ট ফ্যাশনের এই যুগে ব্র্যান্ডগুলো উৎপাদন প্রক্রিয়াকে আরও দ্রুততর ও সহজ করার জন্য ক্রমাগত চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাই আগামী দিনে, উৎপাদনের পটভূমি ৩টি ‘সি’ ((3Cs) - খরচ, প্রতিযোগিতা এবং ঘনিষ্ঠতা (Cost, Competitiveness, and Closeness) দ্বারা প্রভাবিত হবে।"
তিনি আরও বলেন, “৪র্থ শিল্প বিপ্লব হবে উৎপাদন এবং সরবরাহ চেইনের শ্রেষ্ঠত্ব¡ অর্জনের চাবিকাঠি। একই সময়ে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবন চালিত ফ্যাশনের ব্যবহার অব্যাহত থাকবে।”