শীতে নানা তরকারিক সাথে বড়ি রান্না সবার কাছেই প্রিয়। তাই দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মেহেরপুর জেলায় শীত এলেই চাল কুমড়োর বড়ি দেওয়ার ধুম পড়ে। এলাকার প্রতিবাড়িতে এখন বউ-ঝিরা ব্যস্ত সময় পার করছে বড়ি দেওয়ায়। শীত কালে বড়ির চাহিদা থাকে বেশি। বড়ি তৈরিতে পরিশ্রম বেশি হলেও লাভও হয় বেশি। আগে সব সময় কলাই পাওয়া গেলেও কুমড়া পাওয়া যেত না। কিন্তু এখন বড়ি দেওয়ার জন্য কুমড়াও পাওয়া যায় সব সময়। কারণ বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এখন কুমড়া চাষ হয় মেহেরপুরে।

বাড়ির চালে ও মাচাই এখন শোভা পাচ্ছে বড় বড় চাল কুমড়ো। যা দিয়ে এখন শুধুই তৈরী হবে বড়ি। শীতের ভোরে মেহেরপুরের পাড়া মহল্লার মা, বোন, বউ সকলেই এখন চাল কুমড়ো ও কলাইয়ের ডাল ধোঁয়া ও বাটা নিয়ে ব্যাস্ত সময় পার করছে। পুরো শীত জুড়েই গ্রাম শহরের নারীরা কুমড়োর বড়ি তৈরী করে। সেই বড়ি ফাঁকা খোলা নিরাপদ জায়গায় কিংবা বাড়ির ছাদে শুকিয়ে তা সংরক্ষণ করছে।

গৃহিনীরা জানান, আগামী এক বছর এই বড়িই পুরণ করবে তাদের তরকারীর চাহিদা। এলাকার ঐতিহ্য এই কুমড়ার বড়ি শুধু দেশেই না বিদেশেও যায়। এই বড়ি দিতে অনেক কষ্ট হলেও রান্না করে খেলে সব ভুলে যায় বলে জানায় গৃহিনীরা।

যাযাদি/ এস

রাজধানীতে নিত্যপণ্যের চড়া মূল্য