অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অভিন্ন নদীর পানিবণ্টন নিয়ে ভারতের সঙ্গে টালবাহানার কিছু নেই। দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই এর সমাধানের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে বুধবার কুড়িগ্রামের ঘোষপাড়ায় মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিফলকের সামনে ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র সংক্ষিপ্ত পথসভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা নিয়ে কোনো টালবাহানা এনসিপি মেনে নেবে না। বাস্তবসম্মত উপায়ে তিস্তা মহাপরিকল্পনা করতে হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, দেখুন, যদি বলে থাকে টালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না, এখানে টালবাহানার কিছু নেই।
আমরা চেষ্টা করছি, ভারত থেকে আমরা এ ব্যাপারে গত ১৫-২০ এমনকি ৩০ বছরেও পজিটিভ কিছু পাইনি। বহু আগে একবার পজিটিভ মতামত এসেছিল। তখন আমরা গ্রহণ করিনি। এ পর্যায়ে আছে এখন।
তিনি আরও বলেন, কাজেই এটা নিয়ে টালবাহানা করার কোনো কারণ নেই। দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধান করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি। কতটুকু সফল হই সেটা দেখা যাবে।
এ সময় মালয়েশিয়ায় গ্রেফতার ৩৬ বাংলাদেশির সম্পর্কে তথ্য জানতে চাইলে এখনো উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, আমি একটি কথা বলতে চাই। মধ্যপ্রাচ্যের প্রবাসীদের বিভিন্ন কারণে যে সাফারিং, সেটা দূর করার জন্য চেষ্টা করেছি। সবই যে করতে পেরেছি, তা নয়। ওমানে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি কর্মীদের পাসপোর্ট দিতে, যেন রাস্তায় রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে না হয়। বাকি মিশনগুলোকেও এই ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে না পারার জন্য কোনো আক্ষেপ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আক্ষেপ তো একটা নোটেড টার্ম। কার কতটুকু আক্ষেপ আমি জানি না।
আমি এটাকে দেখি এভাবে, আমরা ফেরত আনার জন্য চিঠি দিয়েছি, প্রয়োজনে সেটা ফলোআপ করা হবে। এইটুকুই।
গত এক বছরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে কতটুকু সংস্কার হয়েছে, এই সংস্কার নিয়ে আপনারা সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সংস্কার নিয়ে কখনো হ্যাপি হওয়া উচিত নয়। কেননা হ্যাপি হলে আর কিছু করার নেই।
আমরা চেষ্টা করছি এটাকে (পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়) যতটুকু জনবান্ধব করা যায়।