এ সংক্রান্ত এক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ভিয়েতজেটের চেয়ারম্যান এনগুয়েন থি ফুং থাও ও এয়ারবাসের অন্যতম শীর্ষ নির্বাহী ভাউটার ভ্যান ভার্শ। ফলে ভিয়েতজেট এখন পর্যন্ত মোট ৪০টি এ৩৩০নিও কিনতে চুক্তি করেছে। এর আগে গত বছর একই মডেলের ২০টি আকাশযান অর্ডার করে।
নতুন এ চুক্তির মূল্য কিংবা কবে নাগাদ সরবরাহ করা হবে সে সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি। তবে ভিয়েতজেট বলছে, ক্রয়াদেশ আগামী দশকে তাদের কৌশলগত সম্প্রসারণকে সমর্থন করবে।
এনগুয়েন থি ফুং থাও জানান, কোম্পানিটি এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ফ্লাইট বাড়াতে চায় এবং ভবিষ্যতে ইউরোপমুখী দীর্ঘপাল্লার রুট চালুর পরিকল্পনা করছে। নতুন ক্রয়াদেশ এসব পরিকল্পনার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।
এদিকে ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা চলমান রয়েছে। এর লক্ষ্য ভিয়েতনামের ওপর যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত সম্ভাব্য উচ্চ শুল্ক এড়ানো। এর আগে ভিয়েতজেট একাধিকবার বোয়িং উড়োজাহাজ কেনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল। ভিয়েতনাম ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেছেন, ভিয়েতনামের বিপুল বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমাতে সহায়তা করবে বোয়িং। সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরকালে কয়েকশ জেট সরবরাহের ক্রয়াদেশ পেয়েছে মার্কিন জায়ান্টটি।
২০১৬ সালে সই করা একটি চুক্তি অনুযায়ী ভিয়েতজেট বোয়িংয়ের কাছ থেকে ২০০টি ৭৩৭ ম্যাক্স জেট কেনার কথা ছিল, যা পরবর্তী সময়ে সংশোধনও করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত একটি উড়োজাহাজও সরবরাহ করা হয়নি।