আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পাস করে আগামীকাল রোববার গেজেট জারি করবে সরকার। তার আগে, সকালে অনুষ্ঠেয় এক সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেবে উপদেষ্টা পরিষদ।
উপদেষ্টা পরিষদের এই সভায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিভক্তি নিয়ে কর্মকর্তাদের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ দূর করতে করণীয় নিয়েও সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
রোববার সকাল ১০টায় প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে। এই সভায় প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন পাওয়ার পর, রাষ্ট্রপতির অনুমোদনক্রমে ওইদিনই বাজেট পাস হওয়ার গেজেট জারি করা হবে বলে টিবিএসকে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলাম।
জাতীয় সংসদ কার্যকর না থাকায় এবছর প্রস্তাবিত বাজেট এভাবে পাস হবে, যা আগামী ১ জুলাই থেকে বাস্তবায়ন শুরু হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, গত ১২ মে এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ গেজেট জারির পর বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ দূর করার বিষয়েও—উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা করা হবে। এজন্য অধ্যাদেশে কোন কোন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে সভায়।
এনবিআর বিভক্তির অধ্যাদেশ জারির পর থেকেই বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চনার অভিযোগ তুলে আন্দোলন করে আসছিলেন। এসময় তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করতে থাকলে—অর্থ উপদেষ্টাসহ সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা তাদের সঙ্গে বৈঠক করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।
অবশেষে শুল্ক-কর কার্যালয়ে অচলাবস্থা নিরসনে গত ২৫ মে ব্যাখ্যা দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় বলেছে, বিসিএস (কাস্টমস ও এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের স্বার্থ অক্ষুণ্ন রেখে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে শক্তিশালী করা হবে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সব সংশোধনী আনা হবে।
এর পাশাপাশি একটি বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান গঠনের মাধ্যমে রাজস্ব নীতি পৃথক করার কাঠামো কীভাবে প্রণীত হবে, তা এনবিআর, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে—এ কথাও বলা হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
এই ঘোষণার পর থেকে আন্দোলন স্থগিত করেন এনবিআরের কর্মকর্তারা। অবশ্য শনিবার ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে আগারগাঁও এলাকার এনবিআর, বিডা কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় রবিবার থেকে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।