সারাদেশ

স্বৈরশাসনের অবসান ঘটিয়ে একটি জনকল্যাণমুখী, জবাবদিহিমূলক ও প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের সুনির্দিষ্ট পথনির্দেশনা হিসেবেই দলটি যে ৩১ দফা রূপরেখা ঘোষণা করেছে তা শুধু একটি রাজনৈতিক ইশতেহার নয় বরং এটি আগামী দিনের রাষ্ট্রের নতুন ভিত্তি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা আকন কুদ্দুসুর রহমান।

শনিবার (২১ জুন) সন্ধ্যায় বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নিমতলা বাসস্ট্যান্ডে বিএনপির নতুন কার্যালয় উদ্বোধনকালে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে এক নৈরাজ্যকর ও স্বৈরাচারী শাসন কায়েম করেছিল আওয়ামীলীগ। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার কঠোর শাসনামলে বিএনপির তৃণমূলথেকে সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা সন্ত্রাস, হামলা, গ্রেফতার ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েও এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন।

কোনো ষড়যন্ত্র, হামলা কিংবা নিপীড়নই তাদের দমাতে পারেনি বরং এসব নিপীড়নের মধ্য দিয়েই তারা আরো বেশি সাহসী ও সুসংগঠিত হয়ে দেশের গণতন্ত্র ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি পদক্ষেপে সাহসের সঙ্গে লড়াই করে গেছেন এবং ত্যাগ স্বীকার করে আন্দোলন গড়ে তুলেছেন।

এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, তারেক রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও সাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই গণআন্দোলন একটি সুসংগঠিত রূপ নিয়েছিলো। তার দৃঢ় নেতৃত্ব ও অনুপ্রেরণামূলক বার্তা দেশের ছাত্র-যুবকদের হৃদয়ে শক্তি জুগিয়েছে এবং ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে গণআন্দোলনে নেমেছে। যে আন্দোলনের মুখে অবশেষে স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

কেন্দ্রীয় নেতা আকন কুদ্দুস আরও বলেন, শুধুমাত্র স্বৈরশাসকের বিদায়ে প্রকৃত স্বাধীনতা আসেনি। প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার বাস্তবায়ন অপরিহার্য। এই রূপরেখা কেবল রাজনৈতিক সংস্কারের নির্দেশনা নয় বরং একটি ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র কাঠামোর রূপরেখা। যেখানে থাকবে ন্যায়বিচার, জবাবদিহিতা এবং জনকল্যাণের নিশ্চয়তা।

গৈলা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সেকেন্দার আলী মৃধার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য তাইফুর রহমান কচি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন লালটু, আফজাল হোসেন শিকদার, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ হোসেন ফিরোজ সহ অন্যান্যরা।