বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
২০২৫-২৬ মৌসুম

টানা তৃতীয় বছরের মতো বাড়তে পারে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন

যাযাদি ডেস্ক
  ২৯ জুন ২০২৫, ১৭:২৬
আপডেট  : ২৯ জুন ২০২৫, ১৭:৩১
টানা তৃতীয় বছরের মতো বাড়তে পারে বিশ্বব্যাপী শস্য উৎপাদন
আইজিসির পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৫-২৬ মৌসুমের শেষের দিকে শস্যের মজুদ বেড়ে ৫৮ কোটি ৬০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে

২০২৫-২৬ মৌসুমের জন্য বৈশ্বিক শস্য উৎপাদনের পূর্বাভাস আবারো সংশোধন করেছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইনস কাউন্সিল (আইজিসি)। এ সময় বিশ্বব্যাপী মোট শস্য উৎপাদন পৌঁছতে পারে ২৩৭ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় ২০ লাখ টন বেশি। আইজিসির গ্রেইন মার্কেট রিপোর্ট শীর্ষক প্রতিবেদনের সর্বশেষ সংস্করণে এ তথ্য উঠে এসেছে। খবর ওয়ার্ল্ডগ্রেইনডটকম।

আইজিসি আরো জানায়, উৎপাদন কিছুটা বাড়লেও মৌসুমের শুরুতে মজুদ কম থাকায় সামগ্রিক সরবরাহ আগের বছরের তুলনায় আরো কমতে পারে। বিশ্বের মোট মজুদ ৪ শতাংশ কমে ১০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্নে নেমে আসতে পারে। তবে ২০২৫-২৬ মৌসুমের শেষের দিকে শস্যের মজুদ কিছুটা বেড়ে ৫৮ কোটি ৬০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ভুট্টা মজুদে সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি বজায় রাখবে।

আগামী মৌসুমে বিশ্বব্যাপী শস্যের আমদানি -রফতানি বাণিজ্য ২ শতাংশ বেড়ে ৪৩ কোটি টনে পৌঁছবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ সময় গমের মোট আমদানি-রফতানি বাড়ার পেছনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে রফতানি বৃদ্ধি।

দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলো সয়াবিন উৎপাদনে প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে। সামনের দিনগুলোয়ও এ ধারা বজায় থাকবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এর প্রভাবে ২০২৫-২৬ মৌসুমে বিশ্বব্যাপী সয়াবিন উৎপাদন ১ শতাংশ বেড়ে ৪২ কোটি ৮০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে।

আইজিসির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে ব্যবহার ১৮ কোটি টন বাড়ার সম্ভাবনা থাকায় মৌসুম শেষে মজুদ কিছুটা কমে যেতে পারে। তবে প্রধান রফতানিকারক দেশগুলোয় মজুদ কিছুটা বেড়ে সাত বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত বছর বিশ্বব্যাপী সয়াবিন আমদানি-রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে গিয়েছিল। চলতি বছরও তা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়ে রেকর্ড ১৮ কোটি ৩০ লাখ টনে পৌঁছতে পারে।

বিশ্বে চাল উৎপাদনে শীর্ষ দেশ ভারতসহ এশিয়ার অন্যান্য দেশে উৎপাদন বেশ কয়েকদিন ধরেই ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রেখেছে। আগামী মৌসুমেও তা আারো বাড়তে পারে। এ সময় মোট উৎপাদন পৌঁছতে পারে ৫৪ কোটি ৪০ লাখ টনে।

বাড়তি সরবরাহের কারণে এ সময় চালের ব্যবহার বাড়বে ১ শতাংশ। মোট মজুদও ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রাখবে। আইজিসির দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২৫-২৬ মৌসুমে ভারতের মজুদ প্রায় পাঁচ কোটি টনে পৌঁছতে পারে। আফ্রিকায় চাহিদা বাড়ায় ২০২৬ সালে চালের আমদানি-রফতানি রেকর্ড ছয় কোটি টনে পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে