এর আগে গত বছর অক্টোবরে অ্যাপলকে হটিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি কোম্পানির তকমা পায় এনভিডিয়া, যদিও তা ছিল সাময়িক।
গত বৃহস্পতিবার এনভিডিয়ার বাজারমূল্য এক পর্যায়ে ৩ দশমিক ৯২ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছায়।
দিনের শুরুতে এনভিডিয়ার শেয়ার ২ দশমিক ৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ১৬০ দশমিক ৯৮ ডলারে। এসময় তাদের বাজারমূল্য ছুঁয়ে ফেলে অ্যাপলের ২০২৪ সালের ডিসেম্বরের রেকর্ড—যা ছিল ৩ দশমিক ৯১৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
কিন্তু দিন শেষে শেয়ার মূল্য কিছুটা কমে ১৫৯ দশমিক ৬০ ডলারে দাঁড়ালে এনভিডিয়ার মোট বাজারমূল্য হয় ৩ দশমিক ৮৯ ট্রিলিয়ন ডলার—যা অ্যাপলের রেকর্ডের তুলনায় সামান্য কম।
এনভিডিয়ার নতুন এআই চিপগুলো বড় বড় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল প্রশিক্ষণে ভালো ফল দিচ্ছে। এ কারণে কোম্পানিটির চিপের চাহিদা বেড়েছে, আর তাতেই বাড়ছে শেয়ারের দাম।
বর্তমানে ওয়াল স্ট্রিটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাজারমূল্যধারী কোম্পানি মাইক্রোসফট, যার বাজারমূল্য ৩ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, ৩ দশমিক ১৯ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজারমূল্যে অ্যাপলে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।
গত চার বছরে এনভিডিয়ার শেয়ারমূল্য বেড়েছে প্রায় আটগুণ—২০২১ সালে ৫০০ বিলিয়ন ডলার থেকে এখন প্রায় ৪ ট্রিলিয়নে। এলএসইজি-এর তথ্য অনুযায়ী, এখন এনভিডিয়ার বাজারমূল্য কানাডা ও মেক্সিকোর মোট স্টক মার্কেটের সম্মিলিত মূল্য ছাড়িয়ে গেছে, এমনকি যুক্তরাজ্যের সব পাবলিক কোম্পানির সম্মিলিত মূল্য থেকেও বেশি।
গত ৪ এপ্রিল এনভিডিয়ার শেয়ারের দরপতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত তা ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। ওই সময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বৈশ্বিক শুল্ক আরোপের ঘোষণায় ওয়াল স্ট্রিট বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তবে হোয়াইট হাউস থেকে বাণিজ্যচুক্তির আশা তৈরি হওয়ায় এনভিডিয়াসহ মার্কিন শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
১৯৯৩ সালে সিইও জেনসেন হুয়াংয়ের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত নভিডিয়া ছোট একটি গেমিং কোম্পানি থেকে এখন ওয়াল স্ট্রিটে এআই খাতের প্রধান সূচক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।
তবে বছর শুরুর দিকে চীনা স্টার্টআপ ডিপসিক-এর একটি অল্পদামি কিন্তু শক্তিশালী এআই মডেল বাজারে আনা বিনিয়োগকারীদের মাঝে শঙ্কা তৈরি করেছিল—তারা আশঙ্কা করছিল কোম্পানিগুলো হয়তো এনভিডিয়ার মতো হাই-এন্ড প্রসেসরে বিনিয়োগ কমিয়ে দিতে পারে। তবে সেই শঙ্কা কাটিয়ে এনভিডিয়া আবারও বিনিয়োগকারীদের আস্থার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।