শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

বাংলাদেশে ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ প্রবর্তন করার দাবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

ঢাবি প্রতিনিধি
  ২৫ মার্চ ২০২৩, ১৯:২০
বাংলাদেশে ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ প্রবর্তন করার দাবি ছাত্রলীগের মানববন্ধন

বাংলাদেশে ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ প্রবর্তন করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। বাংলাদেশে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৃশংস কর্মকাণ্ডকে গণহত্যা হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির দাবিতে শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছাত্রলীগ আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এ দাবি জানান সাদ্দাম হোসেন।

ইউরোপের ১৪টি দেশে ও কানাডায় ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ রয়েছে দাবি করে এসময় ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, কেউ যদি গণহত্যার সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, কেউ যদি গণহত্যার ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং কেউ যদি গণহত্যার সাথে সম্পৃক্ত কাউকে রাজনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করে তাহলে সেটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী দন্ডনীয় অপরাধ। সেকারণে বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আমাদের আহবান থাকবে অনতিবিলম্বে ‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ পাস করে এদেশের গণহত্যা নিয়ে যারা তামাশা করে, বাংলার মায়ের সম্রমহানি নিয়ে যারা তামাশা করে, ত্রিশ লাখ মানুষের জীবন নিয়ে যারা মশকরা করে তাদেরকে বিচারের আওতায় নিয়ে এসে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে”।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা মনে করি গণহত্যার বিষয়টি বাংলাদেশ সংবিধানে আলাদা একটি অনুচ্ছেদ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হোক। আমরা যখন দেশীয় আইনে এটি নিশ্চিত করতে পারব তখন আন্তর্জাতিক আইনে নিশ্চিত করা আমাদের জন্য সহজ হবে।

খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে এসময় সাদ্দাম হোসেন বলেন, এদেশে এমন একজন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন যিনি বলতেন ৩০ লাখ নয়, ৩ লাখ মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে। সেসময় যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, জাতির পিতা ও লাখো মানুষের রক্ত নিয়ে তামাশা করার ইতিহাস আমরা দেখেছি।

জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি জানিয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি আরো বলেন, যারা যুদ্ধাপরাধের সাথে জড়িত রয়েছে, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। যেভাবে জার্মানির গেস্টাপো বাহিনী রাজনীতি করার সুযোগ পায় না, তেমনি জামায়াত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে।

মানববন্ধনে বক্তব্যে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বলেন, আজকে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের অত্যন্ত লজ্জার সঙ্গে দেখতে হয় এখনো কিছু দেশবিরোধী অপশক্তি একাত্তরের সেই মহান মুক্তিযুদ্ধকে ‘গণ্ডগোল’ বলে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যারা এই কথা বলে তাদের জন্মের মধ্যেই গণ্ডগোল রয়েছে।

২৫ মার্চের গণহত্যাকে সাংবিধানিক এবং আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিদান; গণহত্যার অস্বীকৃতি আইন প্রবর্তন ও পাকিস্তানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে ক্ষমা প্রার্থনা এবং যুদ্ধাপরাধী জামাআত-শিবিরকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে এ মানববন্ধনটি করে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত। মানববন্ধনে ছাত্রলীগের হল ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী অংশ নেয়। যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে