শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জয়নুল উৎসব’

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
  ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১২:৪৫
নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জয়নুল উৎসব’

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্মরণে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে জয়নুল উৎসব ২০২৩। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে এবারই প্রথম উৎসব আকারে পালিত হচ্ছে এটি। মঙ্গলবার(৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের চুরুলিয়া মঞ্চে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে শুরু হওয়া দুইদিনব্যাপী জয়নুল উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর।

২৯ ডিসেম্বর শিল্পাচার্যের জন্মবার্ষিকী। তবে এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ে শীতকালীন ছুটি থাকায় এগিয়ে আনা হয়েছে অনুষ্ঠানসূচি। চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের এক প্রেরণার নাম শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন। তাই এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আমেজ সৃষ্টি হয়েছে অনুষদটির শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মনে। চুরুলিয়া মঞ্চ সেজেছে রঙ্গিন সাজে, মঞ্চ প্রাঙ্গনে বসেছে মেলা। শিক্ষার্থীরা উৎসবে অংশ নিয়ে নিজেদের তৈরি নানা কারুপণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করছেন। কারুকার্যখচিত এসব শিল্পকর্মের মধ্যে রয়েছে কাঠের চুরি, টিপ,গলার মালা, লকেট, ব্যাগ, দুলসহ শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে তৈরি নানা ধরনের শিল্পকর্ম। এসবের মাধ্যমে ফুটে উঠেছে শিক্ষার্থীদের শিল্পনৈপুণ্য। শিক্ষার্থী ছাড়াও স্থানীয় উদ্যোক্তারাও মেলায় স্টল বসিয়েছেন। এছাড়াও উৎসবকে রঙ্গিন রূপ দিতে বসেছে বাহারি জাতের পিঠার দোকান।

চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী লামিয়া খন্দকার বলেন ‘চারুকলার শিক্ষার্থীদের কাছে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন এক অনুপ্রেরণার নাম। তাঁকে স্মরণ করে চারুকলা অনুষদ আগেও এমন আয়োজন করেছে। এবার আরও বড় পরিসরে হচ্ছে। এই উৎসবের মধ্য দিয়ে শিল্পাচার্যের জীবন, কর্ম ও দর্শন সকলের মাঝে ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশা রাখি।’

অনুষদের শিক্ষার্থীরা বলেন ‘জয়নুল আবেদিনের অনবদ্য সৃষ্টি চারুকলা শিক্ষা প্রসারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ভবিষ্যতে প্রজন্মকেও চারুকলা শিক্ষায় নানাভাবে অনুপ্রেরণা দিতে এই উৎসবের গুরুত্ব অপরিসীম।’

এর আগে মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।পরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন ‘আমাদের সংস্কৃতি হচ্ছে বাঙালির প্রাণভোমরা, বাঙালিকে বাঁচিয়ে রাখবে চিরদিন, চিরকাল। আমাদের হাজার বছরের সংস্কৃতির মূলে যারা কাজ করেছেন, যারা ধারণ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন জয়নুল আবেদিন। আমাদের চারুকলার যে ধারণা, আমাদের শিল্পকলার যে ধারণাটি এটি বহু আগে থেকেই বাঙালি সংস্কৃতিতে প্রবাহমান। কিন্তু জয়নুল আবেদিন আমাদের এই চারুকলাকে এমন মাত্রায় নিয়ে গেছেন যে কারণে আজকে আমাদের চারুকলার বিদ্যা আমাদের অনেক বেশি অণুপ্রাণিত করে।’

অনুষ্ঠানের সভাপতি চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তপন কুমার সরকার বলেন, শিল্পাচার্যের জীবন ও কর্মের নানা দিককে কেন্দ্র করেই আমাদের এই উৎসবকে সাজানো হয়েছে। উৎসবে তাঁর জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা, আর্ট ক্যাম্প, চিত্রকলা প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হচ্ছে। এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে তথা পুরো বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের মধ্যে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশা করি।

চারুকলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাসুম হাওলাদারের সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড.আতাউর রহমান, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, স্বাগত বক্তব্য রাখেন চারুকলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নগরবাসী বর্মন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে