শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায়ী বছরে হাবিপ্রবিতে বহিষ্কার ১৪ শিক্ষার্থী

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
  ২৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১৬

বিদায়ী বছর সর্বোচ্চ বহিষ্কারের ঘটনা ঘটেছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি)। ২০২৩ সালেই ১৪ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

শুধুমাত্র র‌্যাগিংয়ের অভিযোগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা-২০২১ অনুযায়ী এই বছরে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের ১২ জন শিক্ষার্থীকে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ টি ধারা সম্বলিত 'হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় র‍্যাগিং প্রতিরোধ ও প্রতিকার নীতিমালা ২০২১' কার্যকর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়াও গঠন করা হয়েছিল এন্টি র‍্যাগিং স্কোয়াড নামের মূল কমিটি এবং অনুষদ, বিভাগ, হল ও মেস অনুযায়ী উপকমিটি। এই নীতিমালা অনুযায়ী র‍্যাগিং এর অভিযোগ প্রমাণিত হলেই তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আগস্ট মাসে ক্যাম্পাসে ও ক্যাম্পাস সংলগ্ন ছাত্রাবাসে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের র‍্যাগিং ও হয়রানির অভিযোগে মার্কেটিং বিভাগের ৬ জন শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার এবং ৩ শিক্ষার্থীকে কঠোরভাবে করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সেপ্টেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন ছাত্রাবাসে র‍্যাগিং এর অভিযোগে কৃষি অনুষদের রাকিবুল হুদা তাজমুল ও আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও আরো দুই শিক্ষার্থীকে সর্তক করা হয়। একই মাসে শ্রেণীকক্ষে র‍্যাগিং এর অভিযোগে ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২১ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

সর্বশেষ ডিসেম্বর মাসেও একই অভিযোগে অর্থনীতি বিভাগের ২০২২ শিক্ষাবর্ষের তৌহিদুল ইসলাম তুরাগ ও সজীব হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থীকে ২ সেমিস্টার এবং রোকনুজ্জামান চৌধুরী ও অনুপম রায় নামের দুই শিক্ষার্থীকে ১ সেমিস্টার করে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। একইসঙ্গে ওই বিভাগের এফ. এন শাবিন, শাহীন আলম, জাহিদ হাসান, শাকির মাহমুদ ও ইয়াসির রহমান শাকিল নামের চারজন ছাত্রকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।

র‍্যাগিং ছাড়াও যৌন হয়রানী ও নারী শিক্ষার্থীর গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার হয়েছে আরো দুই শিক্ষার্থী। সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে দুই পৃথক ঘটনায় মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন সোহাগ এবং অর্থনীতি বিভাগের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী রিফুজার রহমান রনিকে ১ বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলে জানান প্রক্টর অধ্যাপক ড .মো. মামুনুর রশিদ। তিনি বলেন, 'আমরা সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকলের জন্য লেখাপড়ার সুন্দর, সুষ্ঠ পরিবেশ রক্ষায় সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশৃঙ্গলা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে