সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১

গুচ্ছ নিয়ে দুইভাগে বিভক্ত ইবি শিক্ষকরা

ইবি প্রতিনিধি
  ২৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৫৪
-ফাইল ছবি

গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা। শিক্ষক সমিতির কার্যকরী পরিষদের আয়োজিত সভায় গুচ্ছে থাকা বা না থাকা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন তারা। এতে শিক্ষকদের কেউ কেউ গুচ্ছ পদ্ধতির পক্ষে এবং কেউ কেউ নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে মতামত দেন। রোববার সংগঠনের একাধিক নেতৃবৃন্দ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, শিক্ষক সমিতির সভায় গুচ্ছের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত উপনীত না হতে পারায় শিক্ষকদের মাঝে মতামত গ্রহণ করা হয়। এতে সরকারের অভিপ্রায় থাকায় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে মত দেন ৬জন শিক্ষক এবং গুচ্ছে না গিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে মত দেন ৭জন শিক্ষক। তবে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন সংগঠনটির গঠনতন্ত্র মোতাবেক মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমানও মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমরা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু, ওই সভার পরে বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হয়ে গেছে। ইতোমধ্যে, ইউজিসি, সরকারের বিভিন্ন মহল ও গুচ্ছের আহবায়ক যশোর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভিসি স্যারের বক্তব্য হতে সুস্পষ্ট হয়েছে যে গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়ায় সরকারের অভিপ্রায় রয়েছে। এছাড়াও, এ বছরে ১৫ হাজারেরও অধিক ভর্তিচ্ছু ইবিকে কেন্দ্র হিসেবে আবেদন করেছেন। তাই, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের দুর-দুরান্তের অভিবাবকদের দুশ্চিন্তা নিরশনে আমি মনে করি এই বছরের মত গুচ্ছের বাইরে যেয়ে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তির নামে কালক্ষেপণের আর সুযোগ নেই।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, গত ২৩ জানুয়ারি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তের আলোকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ গুচ্ছে না যাওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে আজকে সভায় ৬ জন নিজস্ব পদ্ধতিতে থাকার বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট তথা দ্বিমত পোষণ করেছেন।

এ বিষয়ে সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি গুচ্ছের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে গুচ্ছে সম্পৃক্ততার বিষয়টি উপস্থাপন করি। কারণ ইতিমধ্যে গুচ্ছে ইবিকে অন্তর্ভুক্ত করে সার্কুলার দেওয়া হয়েছে, শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছে ও বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করা হয়েছে। পরে শিক্ষকদের মতামত নেওয়া হলে ৭জন নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে মতামত দেন এবং ৬ জন এমন পরিস্থিতে গুচ্ছে সম্পৃক্ততার বিষয়ে মতামত দেন। সমান মতামত না হওয়ায় সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি মতামত প্রদান করতে পারি না। তবে মতামত সমান হলে আমি গুচ্ছে সম্পৃক্ততার বিষয়েই মতামত প্রদান করতাম। কিন্তু গুচ্ছে না থাকার পক্ষে মতামত বেশি হওয়ায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার মতটি আমাকে লিপিবদ্ধ করতে হয়েছে।

যাযাদি/এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে