জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মক্ষেত্রে যোগদান করেছেন।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে আমন্ত্রিত অতিথিদের উপস্থিতিতে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
আনুষ্ঠানিকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ শেষে কামরুল আহসান উপস্থিতি শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। এসময় নতুন উপাচার্যের নিকট বিভিন্ন দাবি-দাওয়া পেশ করেন আলোচনায় অংশগ্রহণকরীরা। এরমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে লেজুড়বৃত্তিক শিক্ষক রাজনীতি ও ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল সংস্কার, শিক্ষার্থীদের হলে সিট নিশ্চিত করা, মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তোলা, চাঁদাবাজি বন্ধ করা সহ সকল ধরনের অনিয়ম ও দূর্নীতি মুক্ত করার দাবি জানান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। কোনো দলীয়করণের কারণে কোনো শিক্ষকের প্রমোশন যেন আটকে দেওয়া না হয় তার দাবি জানান শিক্ষকরা।
এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় এক মিনিট নিরবতা পালন করেন উপাচার্যসহ উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠান শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতন ফজিলাতুন্নেছা হলের সামনে নির্মিতব্য শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন নবনিযুক্ত উপাচার্য। এরপর জাবির কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও সাভারের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, দেশের এক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দেশ গঠনে একটা বিশ্ববিদ্যালয় যেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে সেভাবেই জাবিকে গড়ে তুলতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনদের সাথে নিয়েই জাবিকে এগিয়ে নিতে চাই। এ বিষয়ে উপাচার্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি আরও বলেন, ১৫ জুলাই রাতে বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর যারা হামলা চালিয়েছেন এবং হামলার মদদদাতা ছিলেন রাষ্ট্রীয় আইনে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যের আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক প্রজ্ঞাপনে অধ্যাপক কামরুল আহসানকে সাময়িকভাবে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক এবং একই বিভাগের ১৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী।
যাযাদি/এসএস