মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

যারা ইতিহাস নির্মাণ করে তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি
  ০২ মার্চ ২০২৫, ১৪:৩৩
যারা ইতিহাস নির্মাণ করে তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে: ঢাবি উপাচার্য
ছবি: যায়যায়দিন

যারা ইতিহাস নির্মাণ করে তারা ঊর্ধ্বে এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। ১৯৭১ সালের ২ মার্চ আ স ম আব্দুর রবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, স্বাধীন সংগ্রামে অবদান এবং পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে তার ভূমিকা ইঙ্গিত করে এ কথা বলেন।

রোববার (২ মার্চ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহাসিক বটতলায় ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সম্মানীয় অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত ছিলেন ২রা মার্চ বাংলাদেশ পতাকা উত্তোলন করা সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব আ স ম আব্দুর রব।

শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি বলে জানা যায়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা স্বাগত বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সিদ্দিকুর রহমান খান।অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার মুনসী শামস উদ্দিন আহম্মদ।

উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, ইতিহাস যারা নির্মাণ করে তারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আমরা আ.স.ম আব্দুর রবকে ব্যক্তিগত পরিচয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম।শারীরিক দূর্বলার কারণে তিনি উপস্থিত থাকতে পারেননি।ঐতিহাসিক এ দিবস উদযাপনে আমন্ত্রিত হয়ে তিনি আনন্দ প্রকাশ করেছেন।

ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, পতাকা উত্তোলন দিবসের আয়োজনটি অল্প সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হয়েছে। যারা কাজ করেছে এটা সম্পন্ন করতে কাজ করেছেন এবং আয়োজক কমিটির প্রতিটি সদস্য ও আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের সকলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তরফ থেকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন,আমরা চেষ্টা করবো এ ধরনের আয়োজন নিয়মিত করে যেতে।এ জাতীয় আয়োজন বর্তমান পরিস্থিতিতে তাৎপর্য বহন করে।দেশ নানা মুখী প্রতিকূলতা ও ষড়যন্ত্রে মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঐক্য ধরে রাখা অত্যন্ত জরুরি।আমরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে গর্বিত উত্তরাধিকার বহন করছি যা আমারকে সাহস দেয়।আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পুরে জাতীকেও সাহস দেয়।ঐক্য ধরে রাখতে।এই উদ্যোগগুলো আমরা আরো আন্তরিকতার সাথে আয়োজন করা জরুরি।

সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন,একটি দেশের স্বাধীন সার্বভৌমত্ব প্রতিক জাতীয় পতাকা।যাদের রক্তের মিনিয়ে আমরা স্বাধীন পেয়েছি তাদেরকে বিনম্র শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন এবং ২০২৪ এর আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আহতের আরোগ্য কামনা করেন তিনি।

কোষাধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য অবসম্ভবী ছিল।৭১ এর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করে বলেন তাদের ত্যাগ না থাকলে আমরা এখানে থাকতে পারতাম না।মুক্তিযুদ্ধ কখনো ভুল ছিল না।২০২৪ এ এসেও বৈষম্য দূর করতে শহীদ হতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে তেমনি ১৯৭১ এও বৈষম্য দূর করতে মুক্তিযুদ্ধ করতে হয়েছিল। বাংলাদেশে যতদিন সকল প্রকার বৈষম্য দূর না হয় ততদিন যুদ্ধ চলবে।

উপ উপাচার্য সায়মা হক বিদিশা বলেন, আমরা ঐতিহাসিক দিনে সমাবেত হয়েছি।সূচনা হয় পতাকা উত্তলনের মাধ্যমে আর ৯ মাস যুদ্ধে মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়।এ সময় জুলাই অভ্যুথ্থানে যারা শহীদ হ'য়েছে রক্ত দিয়েছে তাদের স্মরণ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, জাতীয় পতাকা আমাদের ঐক্যের জায়গা।এটা আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে সাহায্য করে।সকল প্রকার আন্দলোনে বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক শক্তিতে জাতীয় পতাকাকে সামনে নিয়ে একতাবদ্ধ হয়।আমরা নতুন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে একতাবদ্ধ হবো।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে