শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনা’ হলের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নাম রাখা হয়েছে ‘নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল’।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, "রুয়েটের আবাসিক হলের নাম পরিবর্তন সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে গত ১০৭তম সিন্ডিকেট সভায় হলের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়। এতে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। কমিটির সদস্যগণ কিছু নাম যাচাই-বাছাই করে ও রুয়েট শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকেও হলের নাম প্রস্তাব করা হয়। ছাত্রী হলের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে 'নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী' হল নামটি সিন্ডিকেটে গৃহীত হয়।"
প্রসঙ্গত, নওয়াব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ও একমাত্র মহিলা নওয়াব ও নারীশিক্ষার পথিকৃৎ। তিনি অনেকটা নিজের অদম্য ইচ্ছার কারণে শিক্ষিত হন। শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও সেবাব্রতে তিনি যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন তা ইতিহাসে বিরল। ১৮৭৩ সালে নারী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে কুমিল্লায় তিনি একটি বালিকা বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।ডাকাতিয়া নদীর কোল ঘেঁষে একসময়ের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসা বর্তমানে নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ।
পড়াশোনায় আগ্রহী করার লক্ষ্যে মেয়েদের হোস্টেল ও মাসিক বৃত্তি কার্যক্রম চালু করেছিলেন। দানশীলতার জন্য বিশেষ খ্যাতি ছিলো ফয়জুন্নেসার। নারী শিক্ষার পাশাপাশি দরিদ্র মহিলাদের চিকিৎসার জন্য নিজ মৌজাতে একটি দাতব্য চিকিৎসালয় স্থাপন করেন, যার নাম দেন 'ফয়জুন্নেছা জেনানা হাসপাতাল'। বাংলা ভাষায় কোনো নারীর লেখা প্রথম প্রকাশিত গ্রন্থ রূপজালাল। এছাড়া তিনি 'সঙ্গীত লহরী' ও 'সঙ্গীতসার' নামে দু'টি কাব্যগ্রন্থ রচনা করেন।
যাযাদি/ এম