ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলাবাসীর নিরাপত্তা ও দাগনভূঞা উপজেলায় সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিকারের দাবিতে জরুরি সংবাদ সন্মেলন করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
(১৫ এপ্রিল) মঙ্গলবার সন্ধার পর স্থানীয় একটি কনভেনশন হলে এ সংবাদ সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সন্মেলনে জানান, দাগনভূঞাবাসী ও সম্মানিত সাংবাদিকগণ, আপনারা অবগত আছেন গত ৫ আগস্ট গণহত্যাকারী স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগ ২০০০ এর অধিক হত্যা এবং লক্ষ লক্ষ ছেলেকে পঙ্গু করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এই দেশ থেকে পালিয়েছে।
তেমনি জুলাই বিপ্লবে আমাদের সহযোদ্ধা ভাই দাগনভূঞার বীরসন্তানগণ শহীদ মাসুদ, শহীদ আরিফ, শহীদ শিবলু ভাই জুলাই বিপ্লবে শহীদ হয়েছেন।
অথচ ৫ তারিখের পর থেকে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের শহীদ ভাইদের লাশের উপর দিয়ে দাগনভূঞা উপজেলায় স্থানীয় বিভিন্ন সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মহড়া দিচ্ছে।
যেখানে ককটেল বিস্ফোরণসহ, আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত সংঘর্ষের ফলে এসএসসি পরীক্ষারত শিক্ষার্থীদের মাঝে এবং বাজারের স্থানীয় ব্যাবসায়ী ও পথচারী জনসাধারণের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
৫ তারিখের পর আমরা দেখেছি কিছুদিন পর পরেই দাগনভূঞা বিএনপির স্থানীয় ২টি গ্রুপ দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও ককটেল বিস্ফোরণের মাধ্যমে দাগনভূঞার জনগণকে আতংকিত করে তুলছে বারংবার এবং দাগনভূঞা উপজেলাকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে।
কিন্তু বারবার এই অস্থিতিশীল ও সন্ত্রাসী কার্যক্রম করার পরেও দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন, দাগনভূঞা থানা ও সেনাবাহিনী ক্যাম্প থেকে আমরা শক্ত কোনো স্টেন্ড নিতে দেখিনি।
গতকাল রাত থেকে দাগনভূঞা বাজার অস্থিতিশীল হওয়া কিংবা সংঘর্ষ নিয়ে বিভিন্ন মারফতে খবর পাওয়া সত্ত্বেও দাগনভূঞা থানা বা সেনাবাহিনী ক্যাম্প থেকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে আমরা দেখিনি।
বরং সংঘর্ষের মাধ্যমে পুরো বাজার এবং এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের আতংকিত করার পর সংঘর্ষের শেষে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ঘটনা স্থালে এসেছে।
যাহা খুবই দুঃখজনক। আমরা দেখেছি সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে আজকে আগ্নেয়াস্ত্র এবং অস্ত্র দেখা গিয়েছে, কেন এই অস্ত্রগুলা এখনো উদ্ধার করতে পারেনি আমরা প্রশাসন থেকে জানতে চাই?
আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দাগনভূঞা উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দাবি রাখছি যে, দাগনভূঞা উপজেলার জনসাধারণ এবং দাগনভূঞা বাজারের নিরাপত্তার স্বার্থে ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলায় যেন দ্রুত আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
যদি দ্রুত দাগনভূঞার সন্ত্রাসী কার্যক্রম দমনের ক্ষেত্রে প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাগনভূঞাকে স্থিতিশীল অবস্থায় ফিরিয়ে আনা না হয়, তবে জুলাই বিপ্লবের বিপ্লবের অঙ্গিকারকে স্মরণ করে দাগনভূঞা উপজেলার ছাত্রসমাজ, দাগনভূঞার জনসাধারণ, দাগনভূঞার ব্যাবসায়ীবৃন্দকে সাথে নিয়ে এই দাগনভূঞায় সন্ত্রাস প্রতিরোধে আমরা গণ আন্দোলন গড়ে তুলবো।
উপস্থিত ছিলেন সাজ্জাদ হোসাইন ফাহিম, সজিব ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের প্রতিনিধিগন।
যাযাদি/ এস