পদত্যাগের এক দফা দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলনের মুখে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন ক্যাম্পাসে আসতে না পেরে বাইরের একটি ভর্তি পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন।
শুক্রবার (৯ মে) তিনি বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গুচ্ছভুক্ত ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা পরিদর্শন করেন। তবে আন্দোলনের কারণে তিনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে যেতে পারেননি।
উল্লেখ্য গতকাল বৃহস্পতিবার সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেন। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা টানা পাঁচ দিন ধরে আন্দোলন করে আসছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বার্তায় জানায়, গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ভর্তি পরীক্ষার ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান) সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এবার ‘এ’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৭,০৬১ জন। বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন। আর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন করেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদসহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “আমরা উপাচার্যকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছি। তাকে কোনোভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে আমরা ভর্তি পরীক্ষা যেন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সে বিষয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। সেই অনুযায়ী আজ আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ক্যাম্পাসে ছিলাম। কিন্তু উপাচার্য আসেননি।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ বলেন, “উপাচার্য আজ পরীক্ষার কেন্দ্রে আসেননি।” কেন আসেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সে বিষয়ে আমি কিছু জানি না।”
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শূচিতা শরমিন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া মেলেনি।
যাযাদি/ এসএম