জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) নবনির্মিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের একটি কক্ষে ছাত্রী প্রবেশের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) ছবিটি ভাইরাল হওয়ার পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ছড়িয়ে পড়া ছবিতে থাকা মেয়েটির নাম ইশরাত জাহান। অন্য শিক্ষার্থীরা হলেন, এফ এম প্রত্যয়, আমিনুল ইসলাম, সামিদুল ইসলাম ও মো. রাশেদ।
তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের (৫২তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী।
এ বিষয়ে আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ ঘটনাটি গতবছরের ১৮ অক্টোবরে ঘটেছে। আমাদের বিভাগে শিক্ষার্থীদের ২ গ্রুপের দ্বন্দ্ব হয়। ইশরাতকে খারাপ ভাষায় গালি দেওয়া হয়।
গালিগালাজ করেও ক্ষোভ না মেটায় ওই ছবিটি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।’
ইশরাত জাহান নামের ওই ছাত্রী বলেন, ‘ছবিটি অনেক আগের। সম্ভবত ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর বা অক্টোবর মাসের। তখন কাজী নজরুল ইসলাম হলটি অফিসিয়ালি চালু হয়নি।
এমনকি হলে কোনো নিরাপত্তা প্রহরী ছিল না। অনেকেই তখন হলে গিয়ে ছবি তুলেছিল। আমি সেদিন বন্ধুদের সঙ্গে গিয়েছিলাম, কিছুক্ষণ থেকে চলে এসেছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমার সঙ্গে আরও ৭-৮ জন বন্ধু ছিল। কিন্তু এখন হঠাৎ করে পুরোনো একটি ছবি ভাইরাল করে আমাকে টার্গেট করা হয়েছে।
এটা এক ধরনের ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকে করা হয়েছে বলেই আমি মনে করি। কেন হঠাৎ করে এখন এই ছবি ছড়ানো হলো, সেটা আমার জানা নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ছেলেদের হলে ছাত্রীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ বিষয়টি স্বীকার করে ইশরাত বলেন, এটা অবশ্যই আমার ভুল হয়েছে। তবে তখন হলে কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।’
ছবিতে থাকা আরেক ছাত্র সাদিমুল ইসলাম বলেন, ‘এটা হল উদ্বোধনের দিনের ছবি।
হলে মেয়ে প্রবেশ দেখে আমরাই আশ্চর্য হয়ে গিয়েছিলাম। পরে ভাবলাম প্রথমদিন তাই হয়তো হল প্রশাসন ঢুকতে দিয়েছে।
এ বিষয়ে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মামুন হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটির নথি পাঠিয়েছি। কমিটির রিপোর্টের ওপর যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশেদুল আলম বলেন, ‘যেহেতু এটা হলের ভেতরের বিষয়, তাই এ বিষয়ে হল প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা বহির্ভূত কোনো কাজ করলে অবশ্যই তাকে শাস্তির আওতায় আনা হবে।’