নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরিবহন দপ্তরের সাবেক সহকারী প্রকৌশলী শাহেদ রেজাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম রিজেন্ট বোর্ড।
গত ২৩ মে ১০৬তম রিজেন্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে যবিপ্রবি পরিবহনের তেলচুরিকে বৈধ করে তুলেছিলেন এই শাহেদ রেজা। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তেলচুরির নেপথ্যে খুঁজতে গিয়ে বের হয়ে আসে তেলচুরির মূলহোতা শাহেদ রেজার নাম।
বছরে পরিবহন দপ্তরে শাহেদ রেজার যোগসাজশে ৭০ লক্ষেরও অধিক টাকা টাকার অনিয়মের অভিযোগ উঠে । শাহেদ রেজার অনিয়মের বিষয়ে কথা বলে পূর্বে কোনো পরিবহন প্রশাসক ঐ দপ্তরে টিকতে পরেনি বলেও অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, যবিপ্রবির বাসে যাত্রী তুলে ভাড়া আদায়ের অপরাধে শাহেদ রেজাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৮ তম রিজেন্ট বোর্ড দশ হাজার টাকা জরিমানা ও তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে মুচলেকার মাধ্যমে শাস্তি প্রদান করা হয়। এক বছর পেরিয়ে গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শাহেদ রেজাকে বারবার চিঠি প্রদান করলেও সেই জরিমানা ও মুচলেকা আদায় করেননি তিনি।
শাহেদ রেজাকে পরিবহন দপ্তর থেকে ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে বদলির সময় তাকে দপ্তরের সকল হিসাব বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও হিসাব বুঝিয়ে দেননি। এছাড়া ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদে বদলি হওয়ার নির্দেশনার নয়দিন পর কর্মস্থলে যোগদান করারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এছাড়া শাহেদ রেজা পরিবহন দপ্তরের দায়িত্ব পালনকালের শেষ ছয়মাসে গাড়ি মেরামতের জন্য খরচ করলেও সেই খরচের বিল-ভাউচার না দেখানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়িগুলোর জন্য সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বীমা গ্রহণ না করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বীমা গ্রহণ করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এদিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি থেকে তেলচুরির নেপথ্যের অনুসন্ধানে জানা যায়, ১০-১২ বছর ধরে যবিপ্রবির পরিবহন দপ্তরের সাবেক কর্মকর্তা শাহেদ রেজার সহযোগিতা ও নির্দেশনায় বাসের ড্রাইভার ও হেল্পাররা তেল চুরি করছে। বাস থেকে প্রতিমাসে প্রায় আড়াই-তিন লক্ষেরও অধিক টাকার তেল চুরি হয় হয় বলে জানান বাসের ড্রাইভার-হেল্পাররা। এ হিসেবে বছরে প্রায় ৩০-৩৫ লক্ষেরও অধিক টাকার শুধু তেলই চুরি হয়।
এছাড়া বিভিন্ন সময়ে গাড়ি সার্ভিসিং ও বিভিন্ন পার্টস লাগানোর নামে প্রতিবছরে প্রায় চল্লিশ লক্ষাধিক টাকা শাহেদ রেজা হাতিয়ে নেন বলে জানান কয়েকজন ড্রাইভার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সূত্র। তেল চুরি করে বিক্রির টাকার ৬০ ভাগ ড্রাইভার ও ৪০ ভাগ হেল্পাররা নেওয়ার পদ্ধতি চালু করেন শাহেদ রেজা ও যে দোকানে চুরিকৃত তেল বিক্রি হয় সেই দোকান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ কমিশন নেন তিনি।
এছাড়া জানা যায়, তেল চুরির বিষয়ের তথ্য যাতে কোনো ড্রাইভার ফাঁস করতে না পারেন সেজন্য শাহেদ রেজা ড্রাইভার কর্তৃক তেলচুরি দৃশ্য বিভিন্নভাবে ভিডিও করে রেখে দিতেন। এ ভিডিও ব্যবহার করে ব্লাকমেইল করে তেল চুরি করাতেন ড্রাইভারদের দিয়ে। যদি তার কথামতো কেউ কাজ না করে তবে ঐ ড্রাইভার-হেল্পারকে যেমন শিক্ষক-কর্মকর্তার বাস ও এসি বাস থেকে ডিমোশন করে অন্য গাড়ি বা অফিসে সংযুক্ত করতেন বলে জানিয়েছেন কয়েকজন ড্রাইভার।
এ অবস্থায় এক সময় পর তেলচুরিকে অপরাধের পরিবর্তে নিজের অধিকার বলে মনে করা শুরু করেন বলে জানান কয়েকজন ড্রাইভার ও হেল্পার। শাহেদ রেজার ভয়ে তার অনিয়মের বিষয়ে অন্য ক্যাম্পাসে বদলি হওয়ার পরও এখনো কোনো ড্রাইভার-হেল্পার ক্যামেরার সামনে ও নাম প্রকাশ করে কথা বলতে রাজি হননি।
এপ্রিল মাসে বাসের হাতেনাতে তেল চুরিতে ধরা পড়লে শাপলা বাসের ড্রাইভার ও হেল্পার বলেন, বিগত ১০-১২ বছর ধরে আমরা তেল চুরি। এটা দিয়ে আমরা পেট চালায়।
আরেক ড্রাইভার সাংবাদিকদের জানান, তেল চুরির ৬০ ভাগ ড্রাইভার ও ৪০ ভাগ হেল্পার পাবে বলে নির্ধারণ করে দেন শাহেদ রেজা স্যার এবং যে দোকানে তেল বিক্রি করি ঐখান থেকে কমিশন নেন রেজা স্যার। আর প্রতিদিন তেল বিক্রির টাকা থেকে রেজা স্যারকে সিগারেট কিনে দিতে হতো ও তিনি এ সিগারেটের ভাগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদেরও দিতেন। তিনি সবকিছুই ম্যানেজ করে চলতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ড্রাইভার বলেন, শাপলা বাসের তেলচুরির ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর এখন মাত্র কয়েকটি গাড়ি থেকে তেল চুরি। এটা আমরা আগে কমবেশি সকল ইচ্ছায় বা বাধ্য হয়ে করতাম শাহেদ রেজা স্যারের কারণে। তাকে একটা কমিশন বা প্রতিদিন এক প্যাকেট করে সিগারেট দিতে হতো। নয়তো আমরা ভালো গাড়িতে দায়িত্ব পেতাম না।
এদিকে আরেক ড্রাইভার বলেন, ড. জাফিরুল স্যার যে সময় পরিবহন প্রশাসক ছিলেন তখন পরিবহনের দুর্নীতির বিষয়ে অনেক কঠোর ছিলেন। কিন্তু জাফিরুলে স্যার ঘরের শত্রু বিভীষণকে (শাহেদ রেজা) চিনতে না পেরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ায় ড্রাইভার মফিজের আত্মহত্যার ঘটনায় ফাঁসিয়ে দেয় শাহেদ রেজা। পরিবহন দপ্তরের যত বড় সৎ ও কঠোর প্রশাসকই আসুক না কেন শাহেদ রেজার বিরুদ্ধে কথা বলে টিকতে পারেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি পরিবহন দপ্তরের সাবেক প্রশাসক অধ্যাপক ড. মো: জাফিরুল ইসলাম বলেন, শাহেদ রেজার বিষয়ে বেশি কিছু বলবনা, সে একট দুষ্ট ও ধুরন্ধর প্রকৃতির ছেলে । এর অপরাধের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে গেলে কেউ এ দপ্তরে টিকতে পারেনি। এর বাস্তব উদাহরণ আমি। দপ্তরের অনিয়মের বিষয়ে যখন আমি জিরো টলারেন্স নীতির স্টেপে যাই, তখনই সে আমাকে ড্রাইভার মফিজের আত্মহত্যার ঘটনায় আমাকে ফাঁসিয়ে দেয়।
এছাড়া দেড় বছর পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনের সকল প্রকার তেল চুড়ামনকাটিতে (শানতলা) যশোর ফিলিং স্টেশন থেকে নিত প্রশাসন। সেসময় গাড়ির তেলের ট্যাংক সম্পূর্ণ ভর্তি না করে ভাউচার জালিয়াতির মাধ্যমে ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীদের যোগসাজশে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত বছরের ফেব্রুয়ারী মাসে যশোর সেনাবাহীনি ট্রাস্ট ফিলিং স্টেশন থেকে তেল নেওয়ার চুক্তি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে শুরু হয় গাড়ির ট্যাংক থেকে তেল বের করে তেল চুরির নিত্যদিনের ঘটনা।
সম্প্রতি যবিপ্রবির বিভিন্ন পরিবহন থেকে চুরিকৃত তেল পরিবহন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হওয়া হেল্পার শামীমের দুটি অডিও সাংবাদিকদের আসে। এছাড়াও আসে আরে দুটি অডিও। সেখানে শাহেদ রেজা কিভাবে তেল চুরি করাতেন ড্রাইভার-হেল্পারদের দ্বারা, কিভাবে তেল চুরি বৈধ করেছেন, কিভাবে তেলচুরি ডাকতে হয়, কিভাবে অপরাধীদের বাচিয়ে আনা যায় সেগুলোই উঠে এসেছে অডিও রেকর্ডে।
৩৯ মিনিটের একটি অডিওতে শাহেদ রেজার কাছে হেল্পার শামীম তেল চুরির বিষয়টি নিয়ে কথা বললে শাহেদ রেজা বলেন, আমি যদি পরিবহন দপ্তরে থাকতাম তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে লিখিত অভিযোগের ক্ষেত্রে লিখতাম, শিক্ষার্থীরা কিভাবে গাড়ি থেকে তেল পেল, কোথায় থেকে তেল আসলে বাসের বক্সে, এভাবে লিখে তদন্ত কমিটির জন্য আবেদন করতাম কিন্তু চুরির বিষয়টি কোনোভাবেই লিখতাম না। আর ড. শিমুল তো ড্রাইভার-হেল্পারের নামসহ উল্লেখ করে তদন্ত কমিটির জন্য আবেদন করেছে। দেখ! আমি থাকতে কখনো এমন করেছি, ও তোদের বিপদে ফেলাইছে।
এছাড়া অডিওতে রেজা বলেন, চূড়ান্ত তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার সময় লিখতাম, বাসের তেলের ট্যাংক ফুটো হয়ে যাওয়ায় বাসের ড্রাইভার ও হেল্পার ঐ তেল কন্টেইনারের সংরক্ষণ করে বাসের বক্সে রেখেছে। আর ড্রাইভারদের সবার সামনে শাসাতাম যে, এই শালা ট্যাংক ফুটো হয়েছে আগে জানাসনি কেন? এভাবে কিছুক্ষণ শাসিয়ে বাচিয়ে নিয়ে আসতাম।
তেল চুরির শাস্তি থেকে ড্রাইভার-হেল্পারদের বাচাতে রেজা ঐ হেল্পারকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, বহিষ্কার থেকে বাচার জন্য যশোর জেলার বিএনপির নেতা অমিত ভাইকে ধরে লিংক লবিং করে ভিসিকে কল দিয়ে বাচাতে পারব তোমাদেরকে (ড্রাইভার-হেল্পারকে)। আরে মানুষ মার্ডার করে বেচে আসে, আর তোমরাতো তেল চুরি করেছে। এগুলো বুঝ-ভাঁজ করা ব্যাপার না।
ঐ অডিওর শেষ পর্যায়ে তার ক্ষমতার প্রভাব কত তা জানিয়ে শাহেদ রেজা বলেন, সিনিয়র শিক্ষক-কর্মকর্তারা আমার ভয়ে প্রশ্রাব করে দেয়, আর আমার পিছনে ড্রাইভাররা লাগলে তারা জানে না তাদের কি হবে!
এদিকে আরেকটি ২৭ মিনিটের অডিওতে হেল্পার শামীমের সাথে কথোপকথনে শাহেদ রেজা বলেন, আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে সুযোগ দিতো তবে তেলচুরির সাথে ড্রাইভার-হেল্পারকে বাচিয়ে নিয়ে আসতে পারতাম। একপর্যায়ে ড্রাইভার-ও হেল্পারদের শাস্তি চাওয়ায় পরিবহন প্রশাসক ড. শিমুল ইসলামকে গালিগালাজ করতেও শোনা যায় শাহেদ রেজাকে।
২৭ মিনিটের অডিওতে শাহেদ রেজা বলেন, আমাকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতবার বহিষ্কার করবে কতকিছু করার স্টেপ নিয়েছে, আর তোমাদের ঠাপঠোপ খেতে খেতে হাত-পা এখন শক্ত হয়ে গেছে আমার। এখন আর কিছুই মনে হয়না। ড. শিমুল মিজানকে বাঁচায় নিয়ে না আসতে পারলে বল মিজানকে কিছু একটা করে শিমুলকে ফাঁসায় দিতে। ড. শিমুল মাস্টারি করবে নাকি পরিবহন চালাবে? ওরে কে বলছে এ দপ্তরে কাজ করতে! পরিবহন সহকারীকে বল আমাকে যেকোনোভাবে পরিবহন দপ্তরে নিয়ে আসতে। আরে আমাকে ঝিনাইদহ ক্যাম্পাসে পাঠাইছে কোনো সমস্যাতো নেই, কর্মকর্তার চেয়ারইতো রইছে সমস্যা কি?
তেল চুরিকে বৈধ বানানোর বিষয়ে অডিও রেকর্ডে রেজা হেল্পারকে বলেন, আমি পরিবহন দপ্তরটা এমন বানিয়ে ফেলেছিলাম, তেলচুরিটাও বৈধ, এটা সরকারের সম্পত্তি না এটা ড্রাইভারদের জন্য পানির মতোন। আরে শোন থার্ট পার্টির মাধ্যমে আমি ড্রাইভার ও হেল্পারদের বাচিয়ে আনবো।
১৩ মিনিটের আরেকটি অডিও রেকর্ডে শাহেদ রেজাকে বলতে শোনা যায়, আমাকে কারা ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে তাদের তালিকা আমি তৈরি করেছি, সবাইকে শনাক্ত করেছি। জেনে রাখিস আমিতো এ মাঠের পুরাতন খেলোয়াড়, আর ড. শিমুলতো নতুন খেলোয়াড়। আমার বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। একটা পান চুরি করলেও তা কাগজ-কলমে কেউ চুরি প্রমাণ করতে পারবেনা। আমি কর্মকর্তা আমাকে কিছুই করতে পারবে না, আর এমনভাবে কাজ করছি কোনো কিছুই পাবে না আমার। আমার কোনো অনিয়ম প্রমাণ করতে গেলে যে কাউকেই অনেক দূর ঘুরতে হবে।আমার ক্ষমতা আছে যে কারোর বিরুদ্ধে দুই-একটা নিউজ করে দেওয়ার। এ নিউজের দৌড়ানিতে যে পড়ছে সে বুঝে বিষয়টি কতটা ঝামেলার। ড. শিমুল বুঝে ঠেলা। পরিবহন প্রশাসক এখানে টিকতে পারবে না। আমার নামে ড্রাইভাররা সবাই মিলে অভিযোগ দিলেও আমার কিছুই করতে পারবে না। খেলাতো কেবল শুরু, বকের মতো টপাটপ ড্রাইভাররা সব পড়ে যাবে।
শাহেদ রেজার উপর আরোপিত বহিষ্কারাদেশ থেকে কিভাবে ফিরে আসতে পারে জানতে চাইলে রেজার বিশ্বস্ত এক সূত্র জানায়, এটা রেজা স্যারের কাছে কোনো বিষয়ই না। স্যারের মন্ত্রণালয়ে ও রিজেন্ট বোর্ড সদস্য নার্গিস বেগমের সাথে ভালো লিংক আছে, এর মাধ্যমে উনি শুধু ফিরে আসবে না আবার পরিবহন দপ্তরের কর্মকর্তা হিসেবে ক্যাম্পাসে আসবেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সকল অভিযোগ অস্বীকার করে শাহেদ রেজা বলেন, এগুলো আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত, উল্টো ড্রাইভার-হেল্পাররা তাদের অপরাধের বিষয়ে যাতে কথা না বলি সেজন্য আমার গলায় ছুড়িও ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানীয় ড্রাইভার-হেল্পাররা। দুর্নীতিবাজ ড. ইকবালের বিরুদ্ধে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ড. আমজাদ স্যারের সাথে এক হয়ে আন্দোলন করেছি, প্রতিবাদ করেছি।
শাহেদ রেজার বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি পরিবহন প্রশাসক ড. শিমুল ইসলাম বলেন, সংবাদমাধ্যমে জানতে পারি নানা অনিয়মের অভিযোগে শাহেদ রেজাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সে পরিবহন দপ্তরকে বিভিন্নভাবে অস্থিতিশীল করে তোলার চেষ্টা করেছে। বিল-ভাউচার বুঝিয়ে না দেওয়াসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। তদন্ত করলে রেজার অনিয়ম-অপরাধের বিষয়ের ঘটনা উঠে আসবে আশা করছি।
শাহেদ রেজার বহিষ্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে যবিপ্রবি রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোঃ আহসান হাবীব কোনো ধরনের মন্তব্য করতে রাজি হননি।