বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২

জামিনের পর ‘সংঘবদ্ধ চক্র’কে দুষলেন বেরোবি শিক্ষক

বেরোবি প্রতিনিধি
  ২৪ জুন ২০২৫, ১৯:৩০
আপডেট  : ২৫ জুন ২০২৫, ১০:০৮
জামিনের পর ‘সংঘবদ্ধ চক্র’কে দুষলেন বেরোবি শিক্ষক
ছবি: যায়যায়দিন

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহা. মাহমুদুল হক বলেন, একটি সংঘবদ্ধ ষড়যন্ত্রকারী চক্র আমার বিরুদ্ধে তৈরি হয়েছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে।

হাজিরহাট থানায় যে মামলা আমার নামে দেওয়া হয়েছে, সেই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছিলেন। মামলাটি পরিকল্পিতভাবে শুধু আমাকে গ্রেপ্তারের জন্যই তৈরি করা হয়েছে।

‎ হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়ার ১০ মাস পর হত্যা মামলার ঘটনায় জামিনের দুই দিন পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

‎মঙ্গলবার (২৪ জুন) দুপুর ২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি হেয়াত মামুদ ভবনের সামনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় তিনি দুটি দাবি উত্থাপন করেন।

আমার বিরুদ্ধে করা দুইটি মিথ্যা মামলায় আমার (মাহমুদুল হক) নাম প্রত্যাহার করতে হবে এবং হাজিরহাট থানার ওসিকে বরখাস্ত করে আইনের আওতায় এনে তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। এছাড়া কারা কারা এই গ্রেপ্তারের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

‎‎সংবাদ সম্মেলনে মাহামুদুল হক বলেন, ‘২০০৯ সালে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর ২০১৯ সালে আমি বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করি। যোগদানের পর থেকেই আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী একজন সক্রিয় কর্মী হিসেবে নিজেকে যুক্ত করি। তৎকালীন উপাচার্যের বিরুদ্ধে ৭৯০ পৃষ্ঠার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করি।

বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনায় গোল বৃত্তকে চারকোনা বানানোর বিষয়ে আমি একটি মামলা করি। এর ফলে আমার বিপক্ষে কিছু গোষ্ঠী দাঁড়িয়ে যায়। আমি যখনই অধিকার নিয়ে কথা বলি, তখনই কিছু গোষ্ঠী আমার বিপক্ষে দাঁড়ায়।’

‎‎তিনি বলেন, ‘ঘটনার দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রগ্রাম শেষে আমি বাসায় যাই, তখন আমার ছেলে ও আমি বাসায় ছিলাম। আমার পরিবার রাজশাহীতে ছিল।

দুপুরের খাবার শেষে আমরা বাসার আশপাশে হাঁটছিলাম। হঠাৎ সাদা পোশাক ও ইউনিফর্ম পরিহিত কিছু পুলিশ সদস্য আমার বাসায় আসে। আমি জিজ্ঞাসা করি আমাকে কি গ্রেপ্তার করবেন? পুলিশ জানায়, হ্যাঁ, আপনার সঙ্গে কথা বলতে হবে। আপনাকে থানায় যেতে হবে, আপনি মামলার ৫৪ নম্বর আসামি। এরপর আমাকে সরাসরি কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। আমি অবাক হয়ে যাই, কারণ মামলা ছিল হাজিরহাট থানায়, অথচ আমাকে কোতোয়ালি থানায় নেওয়া হয়। কিছু কাগজপত্র তৈরি করে দ্রুত আমাকে কারাগারে পাঠানো হয়।’

মাহামুদুল হক আরো বলেন, ‘এর আগেও মানিক হত্যা মামলায় আমাকে হয়রানি করা হয়েছিল। সেখানে আমি ছিলাম ১৯ নম্বর আসামি। কেন এসব হয়রানিমূলক মামলা করা হচ্ছে, তা আমি বুঝতে পেরেছি। দীর্ঘদিন আমি অধিকার নিয়ে কথা বলেছি, মানুষের পক্ষে দাঁড়িয়েছি। এসব কারণেই একটি সংঘবদ্ধ চক্র আমার বিরুদ্ধে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারাই এসব মামলা করাচ্ছে এবং বাদীকে প্রভাবিত করছে। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে সরাতে, আমার পরিবারকে হেয় করতে এসব মামলা করা হয়েছে।’

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে