মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

গান ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ব্রিটনি

যাযাদি ডেস্ক
  ২৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১১:২২
গান ছাড়ার ঘোষণা দিলেন ব্রিটনি

এক সময়ের সাড়া জাগানো পপতারকা ব্রিটনি জিন স্পিয়ার্স যিনি ব্রিটনি স্পিয়ার্স বিশ্বখ্যাত। সেই ব্রিটনি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আর ফিরছেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এবার। গত এক সপ্তাহ ধরে মার্কিন ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলোতে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের সঙ্গীত জগতে ফেরা নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর এমন কথা জানিয়ে দিলেন এই হার্টথ্রব গায়িকা।

ছড়িয়ে পড়া খবরের মধ্যে জানা যায়, নিজের দশম অ্যালবামের জন্য গীতিকারদের সঙ্গে কথা বলছেন এই গায়িকা। এবার এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন ব্রিটনি নিজেই। ভক্তদের জানিয়েছেন এই খবরের কোনো সত্যতা নেই। ইনস্টাগ্রামে তিনি লিখেছেন, ‘এসব বেশির ভাগ খবরই ভুয়া।

তারা বলছে যে আমি নতুন অ্যালবামের জন্য বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কাজ করছি...। আমি আর কখনোই মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরছি না।’

স্পিয়ার্স লিখেছেন, তিনি শুধু মজা করার জন্য সঙ্গীত লিখেছেন। তিনি এ-ও জানান, গত দুই বছরে মানুষের জন্য ২০টিরও বেশি গান লিখেছেন।

২০২২ সালের আগস্টে স্পিয়ার্স স্যার এলটন জনের সঙ্গে ‘হোল্ড মি ক্লোজার’ গানটি গেয়ে ছয় বছরের বিরতি ভাঙেন। অগণিত ভক্তও চেয়েছিলেন স্পিয়ার্স আবার সঙ্গীতে ফিরে আসুক। যদিও স্পিয়ার্স এ বিষয়ে আগে থেকে কিছু স্পষ্ট করেননি। তবে এবার খোলাখুলিভাবে বিষয়টি স্পষ্ট করলেন তিনি।

গত বছর ‘দ্য ওম্যান ইন মি’ শিরোনামে স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন স্পিয়ার্স। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, এই মুহূর্তে সঙ্গীত তার মূল লক্ষ্য নয়। তারকাদের আত্মজীবনী মানেই বিতর্ক। ব্যক্তিগত জীবন থেকে পেশাগত জীবনের নানা অজানা ও অপ্রিয় কথা সামনে নিয়ে আসেন তারকারা। আত্মজীবনী প্রকাশের আগে কিছু অংশ প্রকাশিত হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে, অতীতের এমন অনেক বিষয়ই সামনে নিয়ে আসেন, যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয় বিতর্ক। এই যেমন হয়েছে ব্রিটনি স্পিয়ার্সের ক্ষেত্রেও।

মিসিসিপির ম্যাককম্বে জন্ম নেওয়া ও লুইজিয়ানার কেন্টউডে বেড়ে ওঠা এই ব্রিটনি প্রথমে মঞ্চ ও টেলিভিশনে অভিনয় করতেন। পরে ১৯৯৭ সালে তিনি জিভে রেকর্ডসের সঙ্গে গান গাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হন। তার প্রথম দুটি অ্যালবাম বেবি ওয়ান মোর টাইম (১৯৯৯) ও ওপ্স!... আই ডিড ইট অ্যাগেইন (২০০০) আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয় এবং একজন টিনএজ একক গায়কের সবচেয়ে বেশি বিক্রিত অ্যালবামের রেকর্ড করে। এরপর তিনি দীর্ঘ দুই দশক গানের দুনিয়াকে মাতিয়ে রাখেন। এজন্য তাকে পপ আইকন হিসাব অভিহিত করা হয়। ১৯৯০-এর দশকের শেষের দিকে টিন পপগানকে পুনরুজ্জীবিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

যাযাদি/ এস

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
X
Nagad

উপরে