মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

বৃষ্টিতেও স্বস্তি মিলবে না, তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি ছাড়িয়ে যাবে

যাযাদি ডেস্ক
  ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:২৬

তীব্র গরমে দেশের বিভিন্ন জায়গায় জনজীবন যখন অস্থির হয়ে উঠেছে, তখন রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কিছু জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসলেও সেটি খুব বেশি স্থায়ী হবে না বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।

গত কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে, বৈশাখ মাসের এই সময়টিতে তাপমাত্রা এ রকম থাকে এবং এবারও সেটির ব্যতিক্রম হয়নি।

এমন অবস্থায় আবহাওয়া অধিদপ্তর যে পূর্বাভাস দিচ্ছে সেটি গরম নিয়ে দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে তুলছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, আগামী ২০ শে এপ্রিলের পরে গরমের তীব্রতা আরো বৃদ্ধির পূর্বাভাস করা হচ্ছে।

“আগামী ২০ তারিখের পর বিভিন্ন জায়গায় গরমের ব্যাপ্তি আরো বাড়বে,” আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি হতে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।

দেশের কিছু জায়গায় ইতোমধ্যে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এসব জায়গা হচ্ছে - রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু জায়গা।

আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, মৃদু তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৭.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং মাঝারি তাপপ্রবাহে তাপমাত্রা থাকে ৩৮ ডিগ্রি থেকে ৩৯.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপ প্রবাহের তেমন কোন পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখছে না আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, কয়েকদিন পরে ময়মনসিংহ, সিলেট এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কিছু জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। তবে সে সম্ভাবনা কম বলে তিনি উল্লেখ করেন।

“যে বৃষ্টিপাত হবে তাতে গরমের তীব্রতা কমবে না। গরমের তীব্রতা কমে আসার জন্য যে ধরনের বৃষ্টিপাত প্রয়োজন সেটির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।”

বুধবার চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্ত শিলা বৃষ্টি হতে পারে।

আবহাওয়া বিভাগ বলেছে, গত বছরের এই দিনে অর্থাৎ ১৬ই এপ্রিল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। তখন তাপমাত্রা ছাড়িয়েছিল ৪০.৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী সপ্তাহ নাগাদ ঢাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁতে পারে বলে ধারণা করছেন আবহাওয়াবিদরা।

দেশের যেসব জায়গায় গরমের তীব্রতায় জীবনযাত্রা থমকে যাবার উপক্রম হয়েছে তার মধ্যে উত্তরাঞ্চলের বিভাগীয় শহর রাজশাহী অন্যতম। রাজশাহীতে দিনের অধিকাংশ সময় তাপমাত্রা ৩৭ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে। তবে গরমের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে ৪২ ডিগ্রির মতো।

“যাদের বাসার ছাদে পানির রিজার্ভ ট্যাংক আছে সেখানে পানি অনেক গরম হয়ে যায়। বিশেষ করে দুপুর বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত। গোসল করতে গেলে মনে হচ্ছে গা পুড়ে যাচ্ছে।”

পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছিল। বুধবার দিনের বেশিরভাগ সময় তাপমাত্রা ৩৮ডিগ্রি ছিল।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে