শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পারিবারিক মামলায় আপস করায় মিষ্টিমুখ করালেন বিচারক

আইন ও বিচার ডেস্ক
  ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০০:০০

তুচ্ছ বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ। শেষ পর্যন্ত বিরোধ গড়ালো আদালতে। স্ত্রী বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করলেন সিলেটের জকিগঞ্জ পারিবারিক আদালতে। বিজ্ঞ আদালত দেখলেন স্বামী-স্ত্রীর সংসার করার প্রবল আগ্রহ আছে এবং বিরোধের মূল বিষয় বিয়ের দেনমোহর কম! তাই মামলার শুরু থেকেই বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবীদের সহযোগিতায় মালমাটি আপসে নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষে উৎসাহিত করে আসছিলেন। কিন্তু বাদী ও বিবাদীর দুজন আত্মীয়ের আপত্তিতে বিচার শুরুর আগে আপস মীমাংসার

প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।

বিচার চলাকালে বাদী যখন আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন তখন বাদী ও বিবাদীর তিন বছর বয়সি শিশুসন্তান বিবাদী বাবাকে জড়িয়ে ধরে বাবার বুকে শুয়ে ছিলেন। দৃশ্যটি বিজ্ঞ বিচারকের মনে দাগ কেটে যায়। বিজ্ঞ বিচারক দেখলেন স্বামী-স্ত্রীর এই বিচ্ছেদে অসহায় হতে যাচ্ছে অবুঝ এই শিশু। তাই বিচার চলাকালীনও বিজ্ঞ বিচারক ও বিজ্ঞ আইনজীবীরা উভয়পক্ষকে আপস মীমাংসায় বারবার উৎসাহিত করতে থাকেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্তির পর উভয়পক্ষ মামলাটি আপসে নিষ্পত্তি করতে সম্মত হন এবং ২৮ জানুয়ারি তারা আপসনামা দাখিল করে বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করেন, তারা আবার স্বামী-স্ত্রী হিসেবে একত্রে বসবাস করছেন। তাই পক্ষগণ মামলাটি সোলেসূত্রে নিষ্পত্তির প্রার্থনা করেন। এই সময় জকিগঞ্জ পারিবারিক আদালতের বিজ্ঞ

বিচারক মো. অলি উলস্নাহ।

উভয়পক্ষের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করে মামলাটি সোলেসূত্রে নিষ্পত্তির আদেশ দেন এবং পক্ষগণ ও বিজ্ঞ আইনজীবীসহ উপস্থিত সবাইকে মিষ্টিমুখ করানোর জন্য আদালতের অফিস সহকারীকে নির্দেশ দেন।

এ সময় উপস্থিত সবাইকে বিজ্ঞ বিচারকের পক্ষ থেকে মিষ্টিমুখ করানো হয়। এই প্রসঙ্গে জকিগঞ্জ পারিবারিক আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আলামিন রানা জানান, 'পারিবারিক ১৮/২০১৮নং মামলার বাদী ও বিবাদীর মধ্যে বিবাহ বন্ধন টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রে বিজ্ঞ বিচারক মহোদয় ও আইনজীবীদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় মামলাটি আপসে নিষ্পত্তি হয় এবং অবুঝ একটি শিশু অসহায় অবস্থা থেকে রক্ষা পায়। বিজ্ঞ বিচারক মহোদয়ের এই উদ্যোগে মামলার পক্ষগণ ও বিজ্ঞ আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। আদালতও সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ আইনজীবীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একটি সংসার ভাঙন থেকে ও একটি শিশু অসহায় অবস্থা থেকে রক্ষা পাওয়ায় বিজ্ঞ বিচারক সবাইকে মিষ্টিমুখ করান।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে