বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

অপার সৌন্দর্যময় দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ

ফারহানা ইয়াসমিন
  ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
অপার সৌন্দর্যময় দৃষ্টিনন্দন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ

মুসলমানদের দলবদ্ধভাবে নামাজ পড়ার জন্য নির্মিত ধর্মীয় একটি স্থাপনার নাম 'মসজিদ'। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামাজ পড়ার জন্য রয়েছে দৃষ্টিনন্দন এক কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। মসজিদটি ক্যাম্পাসের এক অংশে ২০ শতাংশ জমির ওপর নির্মিত, যেটি ৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ব্যয় করে তৈরি করা হয়েছে। '৩টি গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা' এই কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের প্রধান বৈশিষ্ট্য রয়েছে।

শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মসজিদটিতে একই সাথে প্রায় ২ হাজারের বেশি মুসলিস্ন নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের ফ্লোরে ব্যবহার করা হয়েছে মার্বেল পাথর, রয়েছে ডিজিটাল সাউন্ড সিস্টেম। কেন্দ্রীয় মসজিদটির নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে এবং মসজিদটি উদ্বোধন করা হয় ২০২০ সালের আগস্ট মাসে। ক্লাস, পরীক্ষা ও অ্যাসাইনমেন্টের ফাঁকে মুসলিম শিক্ষার্থীরা নিয়মিত নামাজ আদায় করতে আসেন এই মসজিদে। ছেলে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ে নামাজ আদায় করার ব্যবস্থা আছে।

'মসজিদ' মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলির প্রাণকেন্দ্র। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জুমার নামাজ পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় কার্যাবলি (দোয়া মাহফিল, কুরআন পাঠ এবং ইসলামিক শিক্ষা প্রদান ইত্যাদি) পালিত হয়। অর্থাৎ এখানে প্রার্থনা করা ছাড়াও শিক্ষা প্রদান ও তথ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে। গুরুত্বের বিষয় হলো, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ক্যাম্পাসের এক কোণায় মহাসড়কের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় যাত্রাপথের অনেক পথিক এবং যাত্রী এখানে নামাজ আদায় করতে আসেন।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাথে প্রকৃতির যেন এক গভীর যোগসূত্র আছে। যেমন শরৎকালে এই মসজিদের চারপাশে যখন কাশফুল হেলেদুলে পড়ে তখন এক অন্যরকম নয়নাভিরাম দৃশ্য তৈরি হয়। যা সর্বদা মানসপটে ভাসে। আর শীতের কুয়াশার মাঝেও মসজিদের সুউচ্চ গম্বুজগুলো জ্বলজ্বল করে। সবশেষে বলতে চাই, বরিশাল জেলায় গুটিয়া মসজিদের পরে অন্যতম এক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ হিসেবে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদকে ধরা হয়। উলেস্নখ্য, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মালম্বীদের প্রার্থনার জন্যও রয়েছে একটি মন্দির। এই ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত তাদের নিজস্ব ধর্মীয় উৎসব পালন করার সুযোগ পান।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে