বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

অপরিসীম সম্ভাবনার দুয়ার রুখে দেয় বাল্যবিয়ে

বিশ্বজনসংখ্যা পরিস্থিতি-২০২৩ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বাল্যবিয়ের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাল্যবিয়ের হারে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে! ওই প্রতিবেদনে ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাল্যবিয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাতে উলেস্নখ করা হয়েছে বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বয়স ১৮ হওয়ার আগেই। অন্যদিকে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালভিত্তিক ইউনিসেফের 'বাল্যবিয়ে বন্ধের কার্যক্রম দ্রম্নততর করতে বৈশ্বিক কার্যক্রম' শীর্ষক প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার, যার মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ কিশোরীর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই আর ১৫ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ কিশোরীর। স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যপট।
সাদিয়া আফরিন
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
অপরিসীম সম্ভাবনার দুয়ার রুখে দেয় বাল্যবিয়ে

সবেমাত্র ১৪ পেরিয়ে ১৫ তে পা দেওয়া মেয়েটা আজ এক পুত্রসন্তানের মা! মা, শাব্দিক অর্থে ক্ষুদ্র হলেও এর গুরু দায়িত্বের ভার ব্যাপক- যা বোঝার জন্য এই কিশোরী কি আদো শারীরিক ও মানসিকভাবে পরিপক্ব? এ প্রশ্নের জবাব কে দেবে? এ দায়ভার কার? পরিবার, সমাজ নাকি রাষ্ট্রের?

বাল্যবিয়ে, আমাদের দেশের এক ভয়ংকর সামাজিক ব্যাধির নাম। যেই ব্যাধি প্রতিনিয়ত তার শাখা-প্রশাখা বিস্তারের মাধ্যমে আমাদের সমাজকে আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে। একেবারে নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত, অশিক্ষিত থেকে তথাকথিত শিক্ষিত সব সমাজেই আজ এই রোগের ব্যাপক প্রাদুর্ভাব।

বিশ্বজনসংখ্যা পরিস্থিতি-২০২৩ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের বাল্যবিয়ের ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাল্যবিয়ের হারে বাংলাদেশ শীর্ষে অবস্থান করছে! ওই প্রতিবেদনে ২০০৬ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বাল্যবিয়ের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। তাতে উলেস্নখ করা হয়েছে বাংলাদেশের ৫১ শতাংশ মেয়ের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বয়স ১৮ হওয়ার আগেই। অন্যদিকে, ২০১৯ থেকে ২০২২ সালভিত্তিক ইউনিসেফের 'বাল্যবিয়ে বন্ধের কার্যক্রম দ্রম্নততর করতে বৈশ্বিক কার্যক্রম' শীর্ষক প্রতিবেদনে উলেস্নখ করা হয়েছে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধশতাংশ মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার, যার মধ্যে প্রায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ কিশোরীর বিয়ে হয়েছে ১৮ বছর হওয়ার আগেই আর ১৫ বছর হওয়ার আগেই বিয়ে হয়েছে ১ কোটি ৩ লাখ কিশোরীর। স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্যপট।

যদিও সাম্প্র্রতিক সময়ে বিগত বছরগুলো থেকে বাল্যবিয়ের হার ১০ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে সমাজে কোভিড-১৯ এর ঋণাত্মক প্রভাবকে দায়ী করেছেন ২০২২ ভিত্তিক ইউএনএফপি পরিচালিত গবেষণা কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারীরা। এ সময়ে তারা নানারকম সামাজিক বুলিংয়ের কথা তুলে ধরেছেন, বিশেষ করে গ্রামে এর ব্যাপক প্রভাব ছিল। তবে তা কখনোই একমাত্র বা মুখ্য কারণ নয় কিংবা এমন নয় যে অন্য সময় বাল্যবিয়ে ব্যাপক আকারে সম্পন্ন হয়নি। তাই, এই যুক্তির যথার্থ যৌক্তিকতা অনুসন্ধানে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করে। অন্যদিকে, বাল্যবিয়ের নির্দিষ্ট একটি বা মুখ্য কোনো কারণ বা প্রভাবক এর চাইতে এর প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা বেশি জরুরি। পূর্বে, বাল্যবিয়ের কারণ হিসেবে দারিদ্র্য এবং শিক্ষার অভাবকে বেশি দায়ী করা হতো। তবে দিন দিন পরিবর্তনশীল সামাজিক প্রেক্ষাপটে এর কারণে এসেছে নতুনত্ব, বেড়েছে বৈচিত্র্যতা। কেননা, এখন শিক্ষিত পরিবারেও বেড়েছে বাল্যবিয়ে।

প্রত্যেকটা পরিবার তাদের বাল্যবিবাহের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে নানারকম ব্যাখ্যা দেয়। ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যা। যেমন: দরিদ্র পরিবারগুলো অনায়াসে তাদের দরিদ্রতাকে কারণ হিসেবে তুলে ধরে। তারা বিশ্বাস করে মেয়ে বিয়ে দিলে ভালো খাবে ভালো পড়বে অন্তত এখনকার থেকে। আবার, বেশিরভাগ গ্রামে অনেকাংশে শহরেও যারা তথাকথিত শিক্ষিত তবে সচেতনহীন তারাও বিশ্বাস করে মেয়ে মাধ্যমিকে পা দিয়ে একটু ঘুরাঘুরি করলেই বিয়ের বয়স হয়ে যায়। অন্যদিকে, কোনো পরিবার আবার সমাজের বখাটেদের উৎপাতের হাত থেকে বাঁচতে, মেয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিয়েকে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং উপকারী উপায় বলে মনে করে। এছাড়াও, কিছু পরিবার ভালো বিয়ের প্রস্তাবকে হাত ছাড়া করতে চায় না। তারা ভাবে মেয়ে বড় হলেও তো এমন ধরনের প্রস্তাবই পাব তাহলে দেরি কেন করব। বেশিরভাগ পরিবারই তাদের লেখাপড়ায় দুর্বল মেয়েকে বিয়ে দিয়ে ঝামেলা এড়াতে চায়। তবে কিছু কিছু ঘটনা থেকে জানা যায়, কখনো কখনো কিশোরীরা নিজেরাই তাদের বয়সের তুলনায় বেশি পরিপক্ব আচরণ করে নিজেরাই ভুল পথে পা বাড়ায় এবং সমবয়সি কোনো মেয়ের বিয়ে আর বাকি ১০ জনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। তাদের পরিবারগুলোও ভাবতে শুরু করে যে, তাদের মেয়েরাও তো বিয়ের উপযুক্ত হয়েছে। পরিবারগুলোর দায়ের পাশাপাশি সমাজের সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি বিশেষের দায়ও নেহাত কোনো অংশে কম না। যেই সমাজে একজন স্কুল শিক্ষক তার স্কুলেরই নবম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করে সেই সমাজের ঠিক কোনো অসঙ্গতিকে আপনি দায়ী করবেন? অসচেতনতা, কুশিক্ষা, সামাজিক রীতি নাকি কুসংস্কারকে ?

তবে এই বাল্যবিয়ের কারণগুলো যে শুধু একজন মেয়ের কিশোরী হয়ে উঠার ওই বয়সটাতেই হঠাৎ করেই শুধু তার জন্য উদ্ভব হয় বিষয়টা এমন না। বরং তার জন্ম নেয়া থেকে শুরু করে বড় হয়ে উঠা পর্যন্ত সামগ্রিক সামাজিকরণ প্রক্রিয়ার মধ্যে নানা সময়ে নানাভাবে বিবিধ কারণ, নিয়ামক, প্রভাবকের উদ্ভব হয়েছে, প্রভাবিত করেছে কিশোরী জীবনচলাকে।

যখন একটি মেয়ে শিশু জন্ম নেয় তখন থেকেই শুরু হয় নানারকম সামাজিক বুলিং, যার স্বীকার সদ্যোজাত শিশুটির বাবা-মা। আরে তোমার মেয়ে হয়েছে, এখন থেকেই টাকা জমানো শুরু কর জিনিসপত্রের যা দাম, পরে হাঁপিয়ে ঊঠবে যে। তাছাড়া, সোনার দাম তো তর তর করে বাড়তেছে, সাবধান হও। আর সে মেয়ে শিশুটি যদি হয় কালো তাহলে তো কথাই নেই, ওই মা-বাবাকে প্রতিক্ষণে বুঝিয়ে দেবে কালো মেয়ে জন্ম দিয়ে তারা কি পাপ করেছে। মেয়েটি যখন একটু একটু বড় হতে থাকে তখন তার মাথায় সংসারের নানাবিধ দায়িত্বের কথা ঢুকিয়ে দেওয়া হয়, যদিও সেই জায়গায় বইয়ের স্থান নেয়ার কথা বেশি। তাকে শেখানো হয় নানারকম সংসারের কাজ- যাতে শ্বশুর বাড়ি থেকে কোনো কাজের বিচার না আসে। কখনই তাকে স্বপ্নবাজ মানুষ হতে শিখায় না। এক্ষেত্রে, আমরা আমাদের প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সীমাবদ্ধতাকে অস্বীকার করতে পারি না। এখনো একটা বিরাট অংশ প্রাথমিকের পরে ঝরে পড়ে। প্রাথমিকের গন্ডি পেরুতে না পেরুতেই বিয়ে হয়ে যায় অনেকেরই। এটা হয়- কারণ আমরা শিশুদের চোখে স্বপ্ন তৈরি করতে পারিনি, তাদের বড় হওয়ার স্পৃহা সৃষ্টি করতে পারিনি, লেখাপড়ার প্রতি ভালোবাসা জন্মাতে পারিনি, কেননা, অনেক মেয়ে এটাই বলতে পারে না 'আমি আরও পড়তে চাই।'

মাধ্যমিকেও আমরা মেয়েদের মানসিক পরিবর্তনকে গুরুত্বে নিয়ে কর্মসূচি পরিচালনা করি না। এই সময়টাতে তারা জীবনের সবচেয়ে ক্রান্তিলগ্ন বয়স:সন্ধিকালে থাকে, ভীষণ রকম অস্থির এবং সকল বিষয়ে দোটানায় থাকে তারা। আর এই সুযোগটা নেয় পরিবারগুলো।

আর্থিকভাবে অসচ্ছল পরিবারগুলোকে সাহায্য করার জন্য সরকারের নেয়া নানামুখী কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও সব চাহিদা সম্পন্ন পরিবারগুলো এই সুযোগ-সুবিধার আওতায় পড়ে না। তাই কিছু কিছু পরিবার তাদের মেয়েদের দিয়ে সেলাইয়ের কাজ, সিগারেটের খোলস তৈরির কাজ ইত্যাদি করিয়ে বাড়তি উপার্জন করে থাকে। এভাবে শুরুতে স্কুল বন্ধ হয় এবং পরে বিয়েতে গড়ায় পরিণতি। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে ভয়ংকর প্রভাব পড়ছে যে বিষয়টি- তা হচ্ছে আমাদের চিরাচরিত সংস্কৃতির বিকৃত রূপ। আমাদের নাটক, সিনেমায়, গল্পে, কবিতায়, গানে সর্বোপরি সামগ্রিক বাঙালিপনায় আমূল-পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। সমসাময়িক নাটকগুলোতে দেখানো হয় কীভাবে স্কুল পালিয়ে আড্ডা দিতে যেতে হয়, কীভাবে স্কুলে যাওয়ার পথে টিজ করতে হয়, শুধু যে ছেলেরা টিজ করে এমন না, কখনো কখনো এই ভূমিকায় একজন কিশোরীকেও দেখানো হয় তার পছন্দের সহপাঠীকে ফুল দিতে, কাগজে কিছু লিখে পকেটে গুঁজে দিতে। এসব নাটক আবার ভাইরালও হয়। কি ভয়াবহ পরিণতির দিকে যাচ্ছি আমরা। আঞ্চলিক যেসব নাটক বা সর্টফিল্ম কিংবা যাত্রাপালা থেকে শুরু করে আঞ্চলিক ভাষায় কুরুচিপূর্ণ কিছু গান মারাত্মকভাবে সামাজিকরণে প্রভাব ফেলছে। একইভাবে প্রভাব ফেলছে বাল্যবিয়েতেও। বর্তমান সামাজিক অস্থিরতা, কিছু ক্ষেত্রে আঞ্চলিক রীতি, এখনো নারীকে শুধু বোঝা মনে করার মতো কুসংস্কারসহ আরও অনেক গৌণ প্রভাবকসমূহ বাল্যবিয়ের ঊর্ধ্বগতির জন্য দায়ী।

আমাদের দেশে বাল্যবিয়ে নিরধে আইন তৈরি করা হয়েছে অনেক আগেই, তবে প্রশ্ন হচ্ছে এর প্রয়োগ কতটা কার্যকরী? অনেক বিয়ে পড়ানো হয় রাতের বেলা গোপনে। পুলিশ গ্রামের মেম্বারকে ফোন দিলে বলেন বাল্যবিয়ের ব্যাপারে,; আর মেম্বার সাহেব বলেন, 'কি জানি স্যার, আমার জানামতে তো এখানে কোনো বিয়ে হচ্ছে না'। অথচ সে তখন স্বয়ং বিয়ে বাড়ির দাওয়াত খেতে ব্যস্ত। অন্যদিকে, অনেক বিয়েতে শুধু মৌখিকভাবে বিয়ে পড়ানো হয়, কোনো রেজিস্ট্রি করা হয় না। আর যদি রেজিস্ট্রেশন করতেই হয় তবে তারা কোর্টে গিয়ে মিথ্যা কাগজ তৈরি করে বিয়ে সম্পন্ন করেন। যেই দেশে পরিবারের অভিভাবক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রায় সবাই দুর্নীতি করে বাল্যবিয়ের পক্ষে কাজ করে সেই দেশে বাল্যবিয়ে রোধ কীভাবে সম্ভব হবে?

তাই এসব অসঙ্গতির দিকে রাষ্ট্রের শুধু সুনজর দিলেই হবে না, নিতে হবে কার্যকরী, সময়োপযোগী এবং প্রায়োগিক পদক্ষেপ। আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি আইনের অপপ্রয়োগের গ্যাপগুলো খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নিতে হবে। রাষ্ট্রের গুরু দায়িত্বে আসিন থাকা সবার নিজ নিজ দায়িত্বের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বাল্যবিয়ে এর মতো কঠিন সমস্যাকে কখনোই এককভাবে মোকাবিলা করা সম্ভব হবে না, এর জন্য চাই সম্মিলিত প্রচেষ্টা। সরকারের আইন মন্ত্রণালয় থেকে শুরু করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে কর্মসূচি নিয়ে সামগ্রিকভাবে বাল্যবিয়ে নিরোধে সোচ্চার হতে হবে। বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে তুলে ধরতে হবে। যেমন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান বু্যরোর সর্বশেষ তথ্যমতে, গত সাত বছরে তালাকের হার বেড়েছে ৩৪ শতাংশ- যার মধ্যে বাল্যবিয়ে অন্যতম কারণ। এছাড়াও একজন কিশোরী বিয়ের পরপরই মা হয়ে যায় যদিও মাতৃস্বাস্থ্য বা শিশুস্বাস্থ্য কোনটা সম্পর্কেই তার ভালো কোনো জ্ঞান থাকে না। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, দেশে প্রতিদিন প্রায় ৬০০ শিশু শুধু অপুষ্টিজনিত কারণে মারা যায়, যার মধ্যে ৭৫ ভাগই কিশোরী মায়ের সন্তান। এই ভয়াবহ চিত্রগুলো তুলে ধরে আমাদের দেশের সব শ্রেণির মানুষকে সচেতন করতে হবে। তাদের বোঝাতো হবে একজন কিশোরী মা কোনোভাবেই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে সম্পদে পরিণত করতে পারবে না- যা পারবে একজন মানসিক-শারীরিকভাবে পরিপক্ব সুস্থ মা।

২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম একটি হলো সমাজ থেকে বাল্যবিয়ে নির্মূল করা। আমরা আমাদের সমাজের এই পজিটিভ পরিবর্তনের আশায় ভীষণভাবে আশাবাদী।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে