দখলদার ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় শত শত ভবন ধসে পড়েছে। এসব ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে পড়ে পচছে প্রায় ১০ হাজার মরদেহ।প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ফলে এগুলো সেখানে থেকেই পচছে। ছড়াচ্ছে দূর্ঘন্ধ ও রোগ বালাই।

গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জানিয়েছে, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা ৩৪ হাজার ৫৩৫ জনে পৌঁছেছে।

ধ্বংসস্তূপের নিচে পচা এসব মরদেহের কারণে এখন রোগ বালাই ছড়াচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তারা মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে এক পোস্টে বলেছে, “ধ্বংসস্তূপের নিচে অব্যাহতভাবে জমা হওয়া কয়েক হাজার মরদেহ রোগবালাই ছড়ানো শুরু করেছে। বিশেষ করে গ্রীষ্মের গরমের তীব্রতা বাড়ার কারণে মরদেহগুলো দ্রুত গতিতে পচছে।”

গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। যুদ্ধের প্রথমে তারা বলেছিল দ্রুত সময়ের মধ্যে গাজা থেকে হামাসকে নির্মূল করবে তারা। তবে যুদ্ধ ছয় মাস পেরিয়ে সাত মাসে পৌঁছালেও গাজার নিয়ন্ত্রণ এখনো হামাসের কাছেই রয়েছে।

ইসরায়েলকে গাজার অভিযানের ‘অজুহাত’ দিয়েছে হামাস: মাহমুদ আব্বাস

এছাড়া যুদ্ধের শুরুতে ইসরায়েল বলেছিল তার সামরিক চাপ প্রয়োগ করে হামাসের কাছ থেকে সব জিম্মিকে ছাড়িয়ে আনবে। তবে হামাসের কাছে এখনো ১৩৪ জিম্মি আটক রয়েছে। যাদের অনেকে আবার ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছে।

এখন এসব জিম্মিকে ছাড়িয়ে নিতে হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছে ইসরায়েল। তবে হামাস জানিয়েছে যদি ইসরায়েল তাদের জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিতে চায় তাহলে তাদের অবশ্যই স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি হতে হবে।

যাযাদি/এসএস