আজ বিশ্ব ক্যান্সার দিবস। প্রতিবছর ৪ ফেব্রুয়ারি বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে- ‘আসুন ক্যান্সার সেবায় বৈষম্য দূর করি’।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবস পালনের প্রস্তাব প্রথমে আসে ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি। ২০০০ সালে প্যারিসে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে বিশ্ব সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। দিবসটি ইউনিয়ন ফর ইন্টারন্যাশনাল ক্যান্সার কন্ট্রোল নামের একটি বেসরকারি সংস্থার নেতৃত্বে পালন করা হয়।
দিবসটি পালনের উদ্দেশ্য হলো মারাত্মক ও প্রাণঘাতী এই রোগ সম্পর্কে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এই রোগে আক্রান্ত রোগীদের সাহায্য করার জন্য মানুষকে উৎসাহিত করা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, বিশ্বে প্রতি বছর ৮২ লাখ মানুষ ক্যানসারে মৃত্যুবরণ করে। বিশেষ করে সাড়ে ১০ কোটি নারী ব্রেস্ট ক্যানসার আক্রান্ত হন।
বিশ্বে মৃত্যুর দ্বিতীয় কারণে রয়েছে এই ক্যান্সারের নাম। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে সচেতনতা, শিক্ষার অভাব এবং অর্থনৈতিক অবস্থাকে বাংলাদেশে ক্যান্সারের মৃত্যুহার বৃদ্ধির কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
চিকিৎসকরা মনে করেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ক্যান্সার তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে এবং চিকিৎসা করা সহজ হয়। ক্যান্সারের লক্ষণগুলো নির্ভর করে ক্যান্সার কোথায়, এটি কতটা বড় এবং এটির কাছাকাছি কোন অঙ্গ বা টিস্যুকে কতটা প্রভাবিত করে, তার উপর।
দিবসটি উপলক্ষে আজ জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতাল, বাংলাদেশ ক্যানসার ফাউন্ডেশনসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে নানা কর্মসূচি পালন করবে। এর মধ্যে শোভাযাত্রা, ক্যানসারবিষয়ক পোস্টার ও ফেস্টুন প্রদর্শনী, আলোচনা সভা, ক্যানসার রোগী ও সারভাইবারদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অন্যতম।
যাযাদি/ এসএম